প্রিন্ট এর তারিখঃ অক্টোবর ৯, ২০২৫, ৩:২৩ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ এপ্রিল ৩, ২০২২, ২:২৮ অপরাহ্ণ
কোটালীপাড়ায় সামান্য অপরাধে ফাস্টবয়কে টিসি

কোটালীপাড়া প্রতিনিধিঃ
শ্রেণি কক্ষে সহপাঠীর সঙ্গে কথা বলার অপরাধে বিদ্যালয়ের সবচেয়ে মেধাবী ছাত্রটিকে টিসি দিয়ে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনা নিয়ে গোটা এলাকায় বইছে আলোচনা সমলোচনার ঝড়। ওই শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা তাকে পূররায় বিদ্যালয়ের ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার বান্ধাবাড়ি জেবিপি উচ্চ বিদ্যালয়ে।
জানাগেছে, গত বুধবার (৩০ মার্চ) নবম শ্রেণির আইসিটি ক্লাসে নির্ধারিত শিক্ষক অনুপস্থিত থাকার কারণে বিদ্যালয়ের সহ-গ্রন্থাগারিক জ্যোতির্ময় অধিকারী ক্লাস নিতে যায়। এ সময় তিনি ক্লাসে ভুল তথ্য উপস্থাপন করলে শিক্ষার্থীরা কানাঘুষা শুরু করে। এ ঘটনার পরে জ্যোতির্ময় অধিকারী রেগে গিয়ে শিক্ষার্থীদের মারধর করেন। এ সময় নবম শ্রেণির ফাস্টবয় শেখ মোহেবুল্লাহ মাহি সহ-গ্রন্থাগারিক জ্যোতির্ময় অধিকারীকে শান্ত করাতে গেলে সে শেখ মোহেবুল্লাহ মাহিকে মারধর করতে করতে ক্লাস থেকে বের করে দেন।
এ ঘটনার পরে গত বুধবার (৩০ মার্চ) শেখ মোহেবুল্লাহ মাহিকে টিসি দিয়ে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়টির সহ-গ্রন্থাগারিক জ্যোতির্ময় অধিকারীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি কোন প্রকার মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
তবে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক শেখ আব্দুর রশিদ বলেন, শেখ মোহেবুল্লাহ মাহির মা-বাবা আমাদের কাছে টিসি চাওয়ার কারণে মাহিকে টিসি দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে বিদ্যালয়টির এক শিক্ষক বলেন, শেখ মোহেবুল্লাহ মাহি খুবই মেধাবী ছাত্র। সে পঞ্চম এবং অস্টম শ্রেণির পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছে। তার সাথে যেটা করা হয়েছে তা কোন ভাবেই ঠিক হয়নি। এটা লঘু অপরাধে গুরুদন্ডের সামিল।
নবম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের সহপাঠী শেখ মোহেবুল্লাহ মাহির সাথে অন্যায় করা হয়েছে। আমরা চাই তাকে আবার আমাদের মাঝে ফিরিয়ে আনা হোক।
শেখ মোহেবুল্লাহ মাহি বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের সহ-গ্রন্থাগারিক জ্যোতির্ময় অধিকারী স্যার সেই দিন আমাদের সাথে যে ব্যবহার করেছেন এটা করা তার ঠিক হয়নি। স্যারকে বিষয়টি আমি বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু সে না বুঝে উল্টো আমাকে মারধর করেছেন। পরবর্তীতে শিক্ষকরা মিলে আমাকে টিসি দিয়ে বিদ্যালয় থেকে বের করে দিয়েছেন।
শেখ মোহেবুল্লাহ মাহির মা শিরিন আক্তার বলেন, আমরা পরিবার থেকে মোহেবুল্লাহ মাহিকে টিসি দিতে বলা হয়নি। আমার ছেলেকে অন্যায় ভাবে টিসি দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহবুবুর রহমান নবধারা কে বলেন, আজ রবিবার বিষয়টি আমি জেনেছি। মেধাবী শেখ মোহেবুল্লাহ মাহির টিসি যাতে প্রত্যাহার করা হয় সে বিষয়ে আমি পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.