আগামী ১৫ জুন গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর পৌরসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরই পৌরসভা জুড়ে বইছে উৎসবের আমেজ। ইতোমধ্যে মেয়র পদে সম্ভাব্য ১১ প্রার্থী নির্বাচনী মাঠে কাজ করছেন। মুকসুদপুর পৌরসভার আগামী ১৫ জুন ভোট গ্রহনের দিন ঠিক করে গত ২৫ এপ্রিল তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেখ তারিখ ১৭ মে, বাছাই ১৯ মে, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৬ মে। উল্লেখ্য মুকসুদপুর পৌরসভায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে ০৯ টি ওয়ার্ডে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন নিয়ে সাধারন মানুষ থেকে শুরু করে সকল রাজনৈতিক নেতাদের মনে আশার সঞ্চার হয়েছে। মেয়র প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় নতুন আঙ্গীকে লবিংয়ের পাশা পাশি কাজ করে চলছেন মাঠে।
মুকসুদপুর পৌর নির্বাচনে আ.লীগের মেয়র পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী ৮ জন। তারা হলেন, সদ্য বিদায়ী মেয়র ও মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাডঃ মোঃ আতিকুর রহমান মিয়া, মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও বর্তমান সদস্য মোঃ হুজ্জাত হোসেন লিটু মিয়া, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমান মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ- প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কৃষিবিদ মোঃ শাহাদাত হোসেন, মুকসুদপুর পাইল্ট বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক মোঃ বরকত খান, মুকসুদপুর পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ লুৎফর রহমান মোল্যা, মুকসুদপুর কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস মিজানুর রহমান মন্টু মৃধা, মুকসুদপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রনেতা মোঃ আমিনুর রহমান পল্টু ও উপজেলার বোয়ালিয়া নিজাম উদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রকিবুল ইসলাম মুন্সী। সদ্য বিদায়ী মেয়র এ্যাডঃ মোঃ আতিকুর রহমান মিয়া বলেন, দলীয় মনোনয়ন পেয়ে পূনরায় মেয়র নির্বাচিত হলে আমার অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করবো।
মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও বর্তমান সদস্য মোঃ হুজ্জাত হোসেন লিটু মিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে দলীয় মনোনয়ন দেন। আর আমি মনোনয়ন পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হলে, মুকসুদপুরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন ও সাজানো গোছানো পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলবো।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমান মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ- প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কৃষিবিদ মোঃ শাহাদাত হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিন্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খানে যদি আমাকে দলীয় মনোনয়ন দেন। আর আমি মনোনয়ন পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়, মুকসুদপুর পৌরসভাকে জলাবদ্ধতা দূরীকরণ ও পৌসভার সকল গ্রামে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, পৌরবাসীর সুবিধার্থে ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর অফিস স্থাপন, সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মাদক ও সন্ত্রাস নিমূর্ল করব ইনশাআল্লা। তিনি আরো জানান, ছাত্র জীবন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি। তবে দল সবার ঊর্ধ্বে। ব্যক্তি থেকে দল বড়। দল যাকে সমর্থন করবে আমি তাকেই মেনে নেব।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য জারা মাঠে কাজ করছেন, সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশ্রাফুল আলম শিমুল মিয়া, সাবেক মুকসুদপুর পৌরসভার মেয়র সাজ্জাদ করিম মন্টু মিয়া ও আলহাজ্ব আহাজ্জাদ মহসিন খিপু মিয়া।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.