Nabadhara
ঢাকামঙ্গলবার , ৫ জুলাই ২০২২
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইতিহাস
  5. কৃষি
  6. খুলনা বিভাগ
  7. খেলাধুলা
  8. চট্টগ্রাম বিভাগ
  9. জাতীয়
  10. জেলার সংবাদ
  11. ঢাকা বিভাগ
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. ধর্ম
  14. প্রধান সংবাদ
  15. ফিচার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কচুয়ার চমক ২৫ মনের “টিয়া”র দাম ১০ লাখ

কচুয়া (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
জুলাই ৫, ২০২২ ৭:৫৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

কচুয়ায় ব্রাহামা জাতের ষাড় টিয়া। তিন বছরেই ওজন হয়েছে ২৫ মন।কালো ও বাদামী রংয়ের বিশালাকৃতির এই ষাড়ের দাম হাকা হয়েছে ১০ লক্ষ টাকা। ৯ ফুট লম্বা ও ৬ ফুট উচ্চতার এই গরু দেখতে ভীড় জমাচ্ছেন স্থানীয়রা।

বলছি ঈদুল আজহা উপলক্ষে লালন-পালন করা বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার দরিচড় মালিপটন এলাকার বিশ্বজিত বৈরাগীর পালিত ষাড়ের কথা। তিন বছর ধরে শুধু কাঁচা ঘাস, খড়কুটো, ধান ও ভূষি খাইয়ে বড় করেছেন আদরের ধনকে। খাবারের পাশাপাশি দুই বেলা গোসল ও গোয়ালে বাতাসের ব্যবস্থা রয়েছে টিয়া পাখির জন্য। বিশ্বজিতের সাথে স্ত্রী সবিতা বৈরাগী ও কলেজ পড়ুয়া মেয়ে শিউলি বৈরাগীর দিন কাটে গরুর যত্ন করে।

বিশালাকৃতির এই গরু নিয়ে স্বপ্ন বুনছেন তারা। দাম হেকেছেন ১০ লক্ষ টাকা। প্রতিদিন টিয়াকে দেখতে বিশ্বজিতের বাড়ি ভীড় জমাচ্ছেন স্থানীয়রা। তাদের চাওয়া গরু বিক্রির টাকায় স্বচ্ছালতা আসবে বিশ্বজিতের পরিবারে।

বিশ্বজিতের প্রতিবেশী রঞ্জন কুমার হালদার বলেন, আমাদের এলাকায় এত বড় কোন গরু নেই। আমরা প্রায় প্রতিদিনই গরুটিকে দেখতে আসি। দেখেই শান্তি আমাদের।

স্থানীয় মোঃ আইয়ুব আলী খান বলেন, বিশ্বজিতের গরু দেখতে প্রতিদিনে অনেক লোক আসে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এই গরুর যত্নে কাটে বিশ্বজিতের পরিবারের। বিশ্বজিত ভাল দামে এই গরুটি বিক্রি করুক এটাই আমাদের আশা । লেখাপড়ার পাশাপাশি শিউলির সব চিন্তা ভাবনা থাকে এই গরু নিয়ে। নিজেরা খেতে না পেলেও কখনও গরুকে না খাইয়ে রাখেনা বিশ্বজিত। গরুটি ভালদামে বিক্রি করতে পারলে হয়ত বিশ্বজিতের পরিবারে স্বচ্ছলতা আসবে।
স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির শিক্ষার্থী শিউলি বৈরাগী বলেন, ৮-৯ বছর ধরে আমরা গরু পালন করি। কিন্তু এবারই আমাদের সব থেকে বড় গরু হয়েছে। বাবা অসুস্থ্য, বাইরে কাজ করতে পারেন না। অনেক কষ্ট করে আমাদের সংসার চলে। ঠাকুরের কৃপায় এবার গরু বিক্রি করে আমাদের সংসারে স্বচ্ছলতা আসবে। আমি ভালভাবে পড়াশুনা করতে পারব।

গরুর মালিক বিশ্বজিত বৈরাগী বলেন, তিন বছর আগে আমার আতালে (গোয়ালে) নিজের গাভীতে টিয়ার জন্ম হয়। খুবই যত্নে বড় হয়েছে সে। সকালে এক কেজি ভূষি ও এক কেজি ধান খেয়ে টিয়ার দিন শুরু হয়। এরপরে সারাদিন খড়-কুটো ও কাঁচা ঘাষ খেয়েই দিন কাটে টিয়ার। সকালে টিয়ার নাস্তার পরে আমি চলে যাই ঘাষ কাটতে। পরে সারাদিনই আমার মেয়ে শিউলি ও স্ত্রী সবিতাই এই গরু সামলায়। গরুটাকে ১০ লক্ষ টাকায় বিক্রি করতে পারলে ঘরটাকে সংস্কার করব। মেয়ে ও স্ত্রীকে উপহার দেওয়ার আশা ও ব্যক্ত করেন হতদরিদ্র বিশ্বজিত।

বিশ্বজিত বৈরাগী আরও বলেন, টিয়া ছাড়াও আমার চারটি গরু রয়েছে। এই গরুতে আমার ভাত কাপড় হয়। তবে এই প্রথম আমার গোয়ালে এত বড় গরুহয়েছে। এটি আমার খুব আদরের, তিন বছর ধরে সন্তানের মত লালন পালন করেছি টিয়াকে।

বাগেরহাট জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোঃ লুৎফার রহমান বলেন, ইদুল আজহা উপলক্ষে বাগেরহাটে খামারী ও পারিবারিক পর্যায়ে অনেক গরু পালিত হয়েছে। কচুয়ার বিশ্বজিত বৈরাগী নামের এক ব্যক্তির অনেক বড় একটি গরু রয়েছে। গরুটিকে কোন প্রকার হরমন ও স্টেরয়েড ব্যবহার করা হয়নি। গরুুুটির ওজন ২৫ মনের বেশি। আশাকরি সে ভাল দামে বিক্রি করতে পারবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।