উত্তম শর্মা, দিনাজপুর প্রতিনিধি
দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার সাতখামার উচ্চ বিদ্যালয়ে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় (২০২৫) কেউ পাস করতে পারেনি। বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ৮ জন শিক্ষার্থীর সবাই অকৃতকার্য হয়েছে। উপজেলায় এটি একমাত্র প্রতিষ্ঠান, যেখানে শতভাগ শিক্ষার্থী ফেল করেছে।
ঘটনাটি জানাজানি হতেই অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। স্থানীয় এক অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এই স্কুলের রেজাল্ট আমাদের হতবাক করেছে। আমাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা শঙ্কিত। শিক্ষা বিভাগ ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।”
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জুলফিকার আলীর সাথেও একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার আবুল কালাম আজাদ জানান, “বিদ্যালয়টি নতুন করে এমপিওভুক্ত হয়েছে। শিক্ষকদের দায়িত্ব এড়ানোর সুযোগ নেই। আমরা ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছি। আগামী বছর থেকে ফলাফলে পরিবর্তন আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে।”
বীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, “একটি বিদ্যালয়ের কেউ পাস না করার ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”
উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত সাতখামার উচ্চ বিদ্যালয়ে বর্তমানে ১০ জন শিক্ষক ও ৬ জন অফিস সহকারী কর্মরত আছেন। একসময় বিদ্যালয়টি ভালো ফলাফলের জন্য পরিচিত থাকলেও চলতি বছরের চরম ব্যর্থতা প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ও শিক্ষার মান নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ ও কার্যকর উদ্যোগ না নিলে, ভবিষ্যতে আরও বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন সচেতন অভিভাবকরা।