ওসমান হারুনী,বিশেষ প্রতিনিধি
জামালপুরের মেলান্দহে রেজাউল করিম ও আশরাফ গংদের চাঁদার টাকা না দেওয়ায় পূর্বপরিকল্পনা মাফিক মিথ্যা অভিযোগের শিকার হয়েছেন দাবি করে সম্মেলন করেছেন সাজ্জাদ হোসাইন শাকিব ও তার পরিবারের ভোক্তভোগী সদস্যরা।
বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে শহরের শেখের ভিটা এলাকায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনার পুরো বিষয়টি পুনঃতদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটনের দাবি জানান ভোক্তভোগীরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী সাজ্জাত হোসাইন বলেন, তিনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আয়াত ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী। ঘটনার কিছুদিন পূর্বে তিনি মেলান্দহ উপজেলা এলজিইডি অফিসের আওতায় ফ্ল্যাট প্রকল্পের একই প্যাকেজের তিনটি রাস্তা মেরামতের কাজ অন্য প্রতিষ্ঠান থেকে কিনে নেন। রাস্তার কাজের জন্য মাটি কিনতে সে স্থানীয় জুইস, রেজাউল, আশরাফের সাথে যোগাযোগ করেন। ঠিকাদারি কাজের কথা শুনে দালাল আশরাফ চাহিদা মত মাটির ব্যবস্থা করার কথা বলে অতিরিক্ত দেড় লাখ টাকা দাবি করেন।
পরে তিনি (ভুক্তভোগী সাজ্জাদ হোসেন) মেলান্দহ উপজেলার পাথালিয়া গ্রামের বুলবুল মেলেটারি নামের একজনের সাথে যোগাযোগ করে মাটি কাটার বন্দোবস্ত করেন। এসময় পুনরায় সাজ্জাদ হোসেনের কাছে দেড় লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে রেজাউল করিম ও আশরাফ। টাকা দিতে অস্বীকার করায় সাজ্জাদ হোসেনকে ডিসি বানিয়ে মিথ্যা অভিযোগ তুলে পুলিশে দেন রেজাউল-আশরাফ চক্র।
এব্যাপারে সংবাদ সম্মেলনে বর্তমান সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, জেলা প্রশাসক ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে ঘটনার পুনঃতদন্তের দাবি করেন ভুক্তভোগী সাজ্জাদ হোসান শাকিব এবং আশরাফ-রেজাউল গং সহ চাঁদাবাজ চক্রের প্রত্যেক সহযোগীর শাস্তির দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী সাজ্জাদ হোসাইন শাকিবের পিতা সাইফুল ইসলাম, স্ত্রী বিপাশা সাকিব উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৭ মার্চ জামালপুরের মেলান্দহে ডিসি (জেলা প্রশাসক) পরিচয়ে চাঁদাবাজি করায় মো. সাজ্জাদ হোসেন সাকিব (৩৫) কে আটক করে পুলিশে দেয় এলাকাবাসী। এ ঘটনায় ওইদিন রাতে মো. রেজাউল করিম বাদী হয়ে মেলান্দহ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.