বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, ২৪ এর জুলাই গণঅভ্যুত্থান আমাদের চেতনা। এই চেতনা ধারণ করেই গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা হবে। মানবিক, মর্যাদার, মূল্যবোধের এবং বৈষম্যহীন রাষ্ট্র ও সমাজ গঠনের মধ্য দিয়ে জুলাই চেতনা বাস্তবায়ন করে স্মরণীয় করে রাখা হবে। তবে গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্খা বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে তখনই পরিপূর্ণ বিজয় আসবে, যখন আমরা আমাদের বহু আকাঙ্খিত গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে পারব।
রোববার (২৭ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টায় ময়মনসিংহ নগরীর টাউন মোড়ে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে বিভাগীয় বিএনপির গ্রাফিতি অঙ্কন ও গণসংগীত অনুষ্ঠান উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স আরও বলেন, আমাদের বুকের ওপর থেকে ফ্যাসিবাদের জগদ্দল পাথর নেমে গেছে। এখন আমরা মুক্ত মনে কথা বলতে পারছি। এরই মধ্যে দীর্ঘ এক বছর অতিবাহিত হয়ে গেছে। আমরা কখনো ভাবিনি একটি স্বাধীন, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য এত সময় লেখে যাবে। তারপরও আমরা আশা করছি আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে। আর ওই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যে সরকার এবং সংসদ গঠন হবে, সেখান থেকেই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্খা বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাবে।
এ সময় আগামীকাল (২৮ জুলাই) ময়মনসিংহে এনসিপির পদযাত্রাকে স্বাগত জানিয়ে বিএনপি নেতা প্রিন্স বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, এনসিপির পদযাত্রাকে আমরা স্বাগত জানাই। ময়মনসিংহ শান্তির জনপদ। এখানে রাজনৈতিক শিষ্টার মেনেই আমরা রাজনীতি করি। আশা করছি সকল রাজনৈতিক দল সেই শান্তি বজায়ে রেখে নিজ নিজ কর্মসূচি পালন করবে। এতে অশোভন আচরণ, শিষ্টাচার বর্হিভূত বিরুদ্ধোচারণ, অশ্লিল মন্তব্য বা কুৎসা রটনা কাম্য নয়।
ময়মনসিংহ মহানগর, দক্ষিণ ও উত্তর জেলা বিএনপি যৌথভাবে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এ সময় নগরীর টাইন হল এবং ধোবাখলা মোড় এলাকায় জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি ধারন করে দেয়ালে দেয়ালে গ্রাফিতি অঙ্কন করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এতে সহযোগীতা করেন অভিজ্ঞ চিক্রাঙ্কন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানে মহানগর বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক একেএম শফিকুল ইসলাম শফিকের সভাপতিত্বে উদ্বোধক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ওয়ারেস আলী মামুন ও আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ।