Nabadhara
ঢাকামঙ্গলবার , ২৯ জুলাই ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইতিহাস
  5. কৃষি
  6. খুলনা বিভাগ
  7. খেলাধুলা
  8. চট্টগ্রাম বিভাগ
  9. জাতীয়
  10. জেলার সংবাদ
  11. ঢাকা বিভাগ
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. ধর্ম
  14. প্রধান সংবাদ
  15. ফিচার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দেশে প্রথমবার ব্রুসেলোসিস রোগ শনাক্তে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার: বাকৃবি গবেষকদের সাফল্য

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
জুলাই ২৯, ২০২৫ ৫:৪১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো গবাদি পশুর ভয়াবহ জুনোটিক রোগ ব্রুসেলোসিস শনাক্ত ও নিয়ন্ত্রণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (Artificial Intelligence) মেশিন লার্নিং পদ্ধতি ব্যবহারে সাফল্য অর্জন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ভেটেরিনারি অনুষদের অধ্যাপক ড. মো. সিদ্দিকুর রহমান ও তাঁর পিএইচডি গবেষক কর্ণেল (অব.) এসএম আজিজুল করিম হুসাইনী।

এই গবেষণাপত্রটি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন স্কোপাস ইনডেক্সভুক্ত ‘এশিয়ান জার্নাল অব অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড বায়োলজি’-তে প্রকাশিত হয়েছে, যার ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর ১.৬। গবেষণার প্রধান ছিলেন অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান এবং কো-সুপারভাইজার ছিলেন জার্মানির ফ্রেডেরিখ লোফলর ইনস্টিটিউটের ড. হেনরিখ নইবার। এছাড়া প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করেছে সৌদি আরবের কিং ফয়সাল বিশ্ববিদ্যালয়।

ব্রুসেলোসিস একটি ভয়াবহ ব্যাধি, যা গৃহপালিত পশু, বন্যপ্রাণী ও সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীদের আক্রান্ত করে এবং পশু থেকে মানুষের দেহে ছড়িয়ে পড়তে পারে। রোগটি গবাদি পশুর দুধ উৎপাদন হ্রাস, গর্ভপাত এবং উৎপাদনক্ষমতা কমিয়ে দেয়, ফলে খামারিরা ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন।

অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান জানান, “আমরা মেশিন লার্নিংয়ের পাঁচটি অ্যালগরিদম প্রয়োগ করে ব্রুসেলোসিস রোগের ঝুঁকিপূর্ণ কারণ চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছি। এর মধ্যে MLP, Deep Learning 4j, AdaBoost MI এবং J48 Tree সবচেয়ে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “দেশে এই রোগের কোনো কার্যকর চিকিৎসা নেই। অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা এবং ধর্মীয় কারণে আক্রান্ত পশু নিধনও সম্ভব নয়। তাই বিদেশি রক্তবিশিষ্ট উচ্চমূল্যের পশুগুলোকে নিরীক্ষা করে চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণের কৌশল নির্ধারণ করেছি।”

গবেষণায় জানা গেছে, ব্রুসেলোসিস সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে B. abortus, B. suis, B. melitensis ও B. canis সবচেয়ে ক্ষতিকর। বর্তমানে ব্যবহৃত লাইভ ভ্যাকসিন S-19 ও RB51 পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি বহন করলেও নতুন প্রজন্মের হিট-কিল্ড ভ্যাকসিন অধিক নিরাপদ ও কার্যকর বলে উঠে এসেছে।

গবেষণার অন্যতম সদস্য কর্ণেল (অব.) এসএম আজিজুল করিম হুসাইনী বলেন, “অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমানের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত গবেষণায় আমরা সঠিক নির্দেশনা অনুসরণ করে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পেয়েছি। এই গবেষণা দেশের ভেটেরিনারি খাতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।”

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।