এমদাদ খান,মাদারীপুর প্রতিনিধি
ভাষা, সংস্কৃতি আর হাজার মাইল দূরের ব্যবধান—সবকিছু হার মানিয়েছে ভালোবাসার কাছে। ধর্ম, জাতি কিংবা জাতীয়তার পার্থক্যও বাঁধা হতে পারেনি দুই তরুণ-তরুণীর হৃদয়ের টানে। এমনই এক ভালোবাসার গল্প রচিত হয়েছে মাদারীপুর সদর উপজেলার পাচখোলা ইউনিয়নের মহিষেরচর গ্রামে।
সুমাইয়া আক্তার নামের মাদারীপুরের এক তরুণীর প্রেমে পড়ে সুদূর চীন থেকে বাংলাদেশে ছুটে এসেছেন শিতিয়ানজি নামের এক চীনা যুবক। সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে, ২৭ জুলাই মুসলিম শরিয়ত অনুযায়ী তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
জানা যায়, চার মাস আগে টিকটকের মাধ্যমে সুমাইয়া ও শিতিয়ানজির পরিচয় হয়। এরপর নিয়মিত যোগাযোগ হতে থাকে উইচ্যাটে। বন্ধুত্ব থেকে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। অবশেষে ২৪ জুলাই বাংলাদেশে আসেন শিতিয়ানজি এবং তিন দিন পর মাদারীপুরের আদালতে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে রেজিস্ট্রি করেন।
সুমাইয়া আক্তার মাদারীপুর সরকারি মহিলা কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী এবং মহিষেরচর গ্রামের সাইদুর রহমানের মেয়ে।
সুমাইয়া বলেন, “শিতিয়ানজি আমাকে খুব ভালোবাসে। সেই ভালোবাসার টানেই সে এত দূর থেকে এসেছে। আমি ওর জন্য চীনা ভাষাও শিখছি।” তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে স্বামীর সঙ্গে চীনে যাওয়ার ইচ্ছাও আছে তার।
চীনা যুবক শিতিয়ানজি বলেন, “আমি সুমাইয়াকে ভালোবেসে চীন থেকে বাংলাদেশে এসেছি। ও অনেক ভালো মেয়ে। এখানকার মানুষও খুব ভালো। তবে বাংলাদেশে গরম একটু বেশি। ভবিষ্যতে আমি ওকে চীনে নিয়ে যাবো।”