Nabadhara
ঢাকাবুধবার , ৩০ জুলাই ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইতিহাস
  5. কৃষি
  6. খুলনা বিভাগ
  7. খেলাধুলা
  8. চট্টগ্রাম বিভাগ
  9. জাতীয়
  10. জেলার সংবাদ
  11. ঢাকা বিভাগ
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. ধর্ম
  14. প্রধান সংবাদ
  15. ফিচার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চাঁ/দাবাজি ও জা/ল স্বাক্ষরে কমিটি বাতিলের চেষ্টার অভিযোগ মাদ্রাসা সুপারের বি/রুদ্ধে

নওগাঁ প্রতিনিধি
জুলাই ৩০, ২০২৫ ৫:৩৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁর মান্দা উপজেলার কুড়িয়াপাড়া দাখিল মাদরাসার সুপার মো. জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়, তিনি বৈধভাবে গঠিত মাদ্রাসার এডহক কমিটি বাতিলের উদ্দেশ্যে কমিটির দুই সদস্যের জাল স্বাক্ষরযুক্ত ভুয়া পদত্যাগপত্র দাখিল করেছেন।

মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. রেজাউল নবী গত সোমবার জেলা প্রশাসক ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবর অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযোগে বলা হয়, চলতি বছরের ৬ মার্চ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে অনুমোদিত এডহক কমিটি গঠিত হয়। কিন্তু পাঁচ দিন পর, ১১ মার্চ সুপার জিয়াউর রহমান সভাপতির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে এবং শিক্ষক প্রতিনিধি হাফিজুর রহমান ও অভিভাবক সদস্য মো. বাবুল হোসেনের ভুয়া পদত্যাগপত্র সংযুক্ত করে কমিটি বাতিলের আবেদন করেন।

এদিকে সরেজমিনে তদন্তে জানা গেছে, গত ২৪ মে অনুষ্ঠিত এক সভায় মাদ্রাসার সকল শিক্ষক-কর্মচারী ও পরিচালনা কমিটির সদস্যরা সর্বসম্মতিক্রমে বর্তমান কমিটি অব্যাহত রাখার পক্ষে রেজুলেশন গ্রহণ করেন। এর আগে, গত ২১ মে সুপারকে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ তোলার দায়ে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

শিক্ষক প্রতিনিধি হাফিজুর রহমানের স্বাক্ষরের বিষয়ে সন্দেহ হলে তাকে现场ে নতুন করে স্বাক্ষর করতে বলা হয়। দেখা যায়, তার প্রদত্ত স্বাক্ষরের সাথে পদত্যাগপত্রে থাকা স্বাক্ষরের কোন মিল নেই। একইভাবে, অভিভাবক সদস্য বাবুল হোসেন সাফ জানিয়ে দেন, তিনি পদত্যাগ করেননি।

অন্যদিকে সুপার মো. জিয়াউর রহমান অভিযোগ করেন, “সভাপতি বলেছেন, কমিটি বের করে আনতে আমার অনেক টাকা খরচ হয়েছে, সেটা দিতে হবে।” তবে তিনি এই দাবির পক্ষে কোনো লিখিত প্রমাণ দিতে পারেননি।

এ বিষয়ে মাদ্রাসার সভাপতি মো. রেজাউল নবী বলেন, “এই ধরনের জালিয়াতি কেবল বেআইনিই নয়, বরং প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাব্যবস্থার জন্য অপমানজনক। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছি।”

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ আলম শেখ জানান, “মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে তদন্তের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে চিঠি এসেছে। আমি তদন্ত করে দ্রুত প্রতিবেদন জমা দেব।”

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।