Nabadhara
ঢাকাবুধবার , ৩০ জুলাই ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইতিহাস
  5. কৃষি
  6. খুলনা বিভাগ
  7. খেলাধুলা
  8. চট্টগ্রাম বিভাগ
  9. জাতীয়
  10. জেলার সংবাদ
  11. ঢাকা বিভাগ
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. ধর্ম
  14. প্রধান সংবাদ
  15. ফিচার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মানিকগঞ্জে সেলাই মেশিন বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ, ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বিতরণ স্থগিত

আবিদ হাসান, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
জুলাই ৩০, ২০২৫ ৭:৪৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আবিদ হাসান, মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার সুতালড়ি ইউনিয়নে সেলাই মেশিন বিতরণ প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তি (এলজিইডি) এবং ইউনিয়ন পরিষদের কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে সরকারি অর্থ লোপাটের চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।

জানা যায়, ইউনিয়ন উন্নয়ন সহায়তা (এডিপি) কর্মসূচির আওতায় দরিদ্র নারীদের আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ১৮টি সেলাই মেশিন কেনা হয়। বাজারে একেকটি বাটারফ্লাই ব্র্যান্ডের সেলাই মেশিনের দাম যেখানে ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা, সেখানে প্রকল্পে তা দেখানো হয়েছে প্রায় ১৪ হাজার টাকার বেশি করে। এতে করে মোট খরচে প্রায় লাখ টাকার অতিরিক্ত ব্যয় দেখানোর অভিযোগ উঠেছে।

এ অনিয়মের বিষয়টি ধরা পড়ে মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেলে হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কোহিনুর আক্তার সেলাই মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানে গিয়ে মেশিনের দাম জানতে চান। প্রকৃত বাজারমূল্যের সঙ্গে প্রকল্পের খরচের অমিল দেখে তিনি সঙ্গে সঙ্গেই বিতরণ কার্যক্রম স্থগিত করেন।

বুধবার সকালে ইউএনও কোহিনুর আক্তার বলেন, “বাজারদরের সঙ্গে প্রকল্পে উল্লেখিত দামের পার্থক্য থাকায় বিতরণ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। সরকারি অর্থের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

অভিযুক্ত এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী রিপন আলী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “বাজার যাচাই করেই সেলাই মেশিনের এস্টিমেট খরচ তৈরি করা হয়েছে। তবে আমি ক্রয়ের সঙ্গে জড়িত নই, প্রকল্প কমিটিই কিনেছে।”

সুতালড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মঞ্জুরুল হক জানান, “এলজিইডি কর্তৃক দেওয়া এস্টিমেট অনুসারেই মেশিন কেনা হয়েছে। আমি প্রকল্প কমিটির সদস্য ছিলাম না, তবে ক্রয়ের সময় মানিকগঞ্জে গিয়েছিলাম অন্য কাজে।”

অন্যদিকে প্রকল্প কমিটির সভাপতি ও ইউপি সদস্য সোলাইমান ওরফে সুরমান বলেন, “আমি এমন প্রকল্পে আগে কখনও দায়িত্বে ছিলাম না। এসব বিষয়ে আমার অভিজ্ঞতা নেই।”

এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, পরিকল্পিতভাবে প্রকল্প ব্যয় বাড়িয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করার চেষ্টা হয়েছে। তারা অবিলম্বে একটি সুষ্ঠু তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রকৃত দোষীদের শাস্তির দাবি জানান।

স্থানীয় প্রশাসনের কঠোর নজরদারি ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের মাধ্যমে সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত হলে প্রকল্পে স্বচ্ছতা ফিরবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।