মফিজুল ইসলাম, ঝিনাইদহ
বাংলাদেশের জনপ্রিয় ইসলামী সংগীত সংগঠন কলরব–কে ঘিরে শত কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে এর প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আইনুদ্দীন আল আজাদের পরিবার।
৩১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে আজাদের বড় ভাই মোঃ শামসুল আলম লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। উপস্থিত ছিলেন আজাদের স্ত্রী উম্মে হাবিবা, ছেলে গালিব বিন আজাদসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, কলরবের সাবেক অফিস বয় বদরুজ্জামান বর্তমানে সংগঠনটির একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন। কলরবের ইসলামি সংগীত ও গজলসমূহ বিভিন্ন মোবাইল রিং ব্যাক টোন, ইউটিউব ও অনলাইন মাধ্যমে ব্যবহৃত হয়ে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব অর্জন করলেও এর প্রতিষ্ঠাতার পরিবার কোনো আর্থিক অংশ পায়নি।
পরিবারের অভিযোগ, বর্তমানে কলরবের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলো (ইউটিউব, ফেসবুকসহ) হলিটিউন নামের একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে পাওয়া স্পন্সরশিপ, কনটেন্ট আয় ও অনুদানের টাকা ওই প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টেই জমা হয়।
আজাদের স্ত্রী উম্মে হাবিবা বলেন, “আমার স্বামীর জীবনের শ্রম, স্বপ্ন আর সুনামকে পুঁজি করে কিছু মানুষ নিজেদের আখের গুছিয়েছে। অথচ তার পরিবার সম্পূর্ণ বঞ্চিত।”
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কলরবের নামে শত কোটি টাকার আয় হলেও সংগঠনের নামে তেমন কোনো স্থায়ী সম্পদ গড়ে ওঠেনি। বরং বদরুজ্জামান ও তার ঘনিষ্ঠদের নামে রয়েছে ঢাকায় একাধিক ফ্ল্যাট, প্রবাসী সিটিতে জমি, কোম্পানির শেয়ার এবং এমনকি একটি হেলিকপ্টার পর্যন্ত।
২০০৪ সালে ইসলামী সংস্কৃতি প্রসারের লক্ষ্যে কলরব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আইনুদ্দীন আল আজাদ। তিনি ২০১০ সালে এক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন। এরপর থেকেই বদরুজ্জামান ও রশিদ আহমদ ফেরদৌস সংগঠনের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
আজাদের পরিবার অবিলম্বে দুর্নীতির তদন্ত দাবি করেছে। একইসাথে সংগঠনটির স্বত্ব ও আয়ের ন্যায্য অংশ ফেরতের দাবি জানিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।