এমদাদ খান, মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি
মাদারীপুরে সম্পন্ন হলো পাঁচদিনব্যাপী উচ্চতর নৃত্য প্রশিক্ষণ কর্মশালা। জেলার শিল্প ও সংস্কৃতিপ্রেমীদের প্রাণের কেন্দ্র জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় অংশ নেন মাদারীপুরসহ বিভিন্ন জেলার ৬ থেকে ৬০ বছর বয়সী শতাধিক নৃত্যশিল্পী।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী শিল্পীরা পরিবেশন করেন লালনগীতি, রবীন্দ্রসংগীত, লোকগীতি, ক্লাসিক ও রোমান্টিক ঘরানার নৃত্য। নানা বয়সের এই শিল্পীদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা দেখতে গ্যালারিজুড়ে উপচে পড়ে দর্শকের ভিড়। অনুষ্ঠানটি পরিণত হয় এক আনন্দঘন মিলনমেলায়।
নৃত্যশিল্পীরা জানান, এমন আয়োজন তাদের জন্য অনুপ্রেরণার। তারা আরও বলেন, নিয়মিত অনুশীলন এবং প্রশিক্ষণের সুযোগ থাকলে নিজেদের দক্ষতা আরও বাড়ানো সম্ভব। ছোট-বড় সবার অংশগ্রহণে এই আয়োজন ছিল ব্যতিক্রমধর্মী ও স্মরণীয়।
দর্শক বিপ্লব কর্মকার বলেন,
“শিল্পকলা একাডেমির এই আয়োজন দেখে মনপ্রাণ জুড়িয়ে গেছে। এমন অনুষ্ঠান নিয়মিত আয়োজন করা দরকার।”
আবৃত্তি শিল্পী কুমার লাভলু বলেন,
“এই কর্মশালার মাধ্যমে নৃত্যশিল্পে নতুন প্রাণ সঞ্চার হয়েছে। মানসম্পন্ন শিল্পী তৈরিতে এমন উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ।”
অংশগ্রহণকারী নৃত্যশিল্পী নুরজাহান কান্তা বলেন,
“একসঙ্গে শতাধিক শিল্পীর অংশগ্রহণ সত্যিই সৌভাগ্যের ব্যাপার। আমরা সবাই অনেক আনন্দ করেছি।”
ক্ষুদে নৃত্যশিল্পী অঙ্গনা কুন্ডু জানায়,
“পরিবারের সবাই আমাদের অনুশীলন দেখেছে। আমরা অংশ নিতে পেরে খুব খুশি।”
এই আয়োজনে নেতৃত্ব দেন ‘স্বাপ্নিক নৃত্য বিকাশ’-এর প্রতিষ্ঠাতা স্বপন মাহমুদ। তিনি বলেন,
“এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জেলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ছড়িয়ে পড়বে এবং দক্ষ নৃত্যশিল্পী তৈরি হবে।”
নৃত্য প্রশিক্ষক ও কোরিওগ্রাফার এম আর ওয়াসেক বলেন,
“এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেধা ও আগ্রহ দুটোই রয়েছে। এখান থেকেই ভবিষ্যতের দেশসেরা নৃত্যশিল্পী তৈরি হতে পারে।”
প্রতিযোগিতা নয়, বরং শিল্পের সাধনাই ছিল এই প্রশিক্ষণের মূল উদ্দেশ্য। সবার অংশগ্রহণ ও প্রশিক্ষকদের নিবেদন এই আয়োজনকে করেছে অনন্য ও প্রেরণাদায়ক।