নাজিম বকাউল, ফরিদপুর
ফরিদপুরের ঐতিহ্যবাহী ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে চরম শৃঙ্খলাভঙ্গ ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কলেজের একাধিক চিকিৎসক নিয়মিত ক্লাসে না গেলেও কর্তৃপক্ষ রয়েছে নির্বিকার। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সুধী সমাজ।
৫ আগস্ট সারা দেশে প্রশাসনিক শুদ্ধি অভিযান চললেও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে এর ছোঁয়া লাগেনি। স্থানীয়দের অভিযোগ, কলেজটি এখনো আওয়ামী লীগের চিকিৎসক সংগঠন স্বাচিপের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণে। দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে এই সংগঠনের কর্তৃত্বে থাকা কলেজটিতে পরিবর্তনের কোনো ছাপ নেই বলেই মনে করছেন অনেকে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, কার্ডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হুমায়ুন কবির, অধ্যাপক ডা. মাহবুবুর রহমান, কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সরোয়াত এবং কার্ডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. কাজল কুমার কর্মকার নিয়মিত কলেজে আসছেন না।
তবে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ডা. কাজল কুমার কর্মকার ও ডা. সরোয়াত দাবি করেন, তারা নিয়মিত ক্লাসে যান এবং শিক্ষার্থীদের পাঠদান করেন। অন্যদিকে অধ্যাপক ডা. মাহবুবুর রহমান ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
অভিযোগের বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. দিলরুবা জেবা বলেন, “আমি জানি না কারা আসেন না, আপনি যদি নাম বলেন তাহলে ব্যবস্থা নিতে পারি।” তার এ বক্তব্যে হতবাক হয়েছেন অনেকেই। সুধী সমাজের প্রশ্ন, একজন অধ্যক্ষ কিভাবে কলেজের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের উপস্থিতি ও কার্যক্রম সম্পর্কে অবগত না থেকে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন?
এদিকে ফরিদপুরবাসীর দাবি, অনিয়মে জড়িত সকল চিকিৎসককে অবিলম্বে বদলি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। না হলে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ এবং স্বাস্থ্যসেবার মান ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করছেন অনেকে।

