লিকায়ত আলী খান,নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাসের খসড়া প্রস্তাবে জেলা সদরের অশ্বদিয়া ও নেয়াজপুর ইউনিয়নকে বাদ দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে এলাকা। বুধবার (৬ আগস্ট) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দুই ইউনিয়নের হাজারো বাসিন্দা বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন।
জানা গেছে, নোয়াখালীর সোনাপুর-কবিরহাট সড়কের অশ্বদিয়া গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে এবং জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে ব্যাপক বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক নেতাকর্মীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ এতে অংশ নেন। একইসাথে নেয়াজপুর ইউনিয়নের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের বরাবর একটি স্মারকলিপিও প্রদান করা হয়।
খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সুধারাম মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং বিক্ষোভকারীদের দাবি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করলে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, নির্বাচন কমিশন “অখণ্ড প্রশাসনিক ইউনিট” রক্ষার নীতিমালা উপেক্ষা করে জেলা সদরভুক্ত অশ্বদিয়া ও নেয়াজপুর ইউনিয়নকে নোয়াখালী-৪ আসন থেকে বাদ দিয়েছে, যা অযৌক্তিক ও জনগণের সাথে অবিচার। তাঁরা বলেন, এই সিদ্ধান্ত বাতিল করে আগের ন্যায় উক্ত দুটি ইউনিয়নকে নোয়াখালী-৪ আসনের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, নতুবা বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের আমির ইসহাক খন্দকার, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক সলিম উল্যাহ বাহার হিরণ, ভিপি জসিম, জেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল মোতালেব আপেল, নেয়াজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন বাবুল, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন আলো, জাস্টিস ফর জুলাইয়ের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন আরাফাত, অশ্বদিয়া নাগরিক ফোরামের আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা সেলিম, হাসান মাহমুদ তানসেন, মোজাম্মেল হোসেন সায়েম, যুবদল নেতা সাজ্জাদ হোসেন রিয়েল, শহর জামায়াত নেতা সাইফুল ইসলামসহ আরও অনেকে।

