এস এম শরিফুল ইসলাম স্টাফ রিপোর্টার, নড়াইল
নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভার মাইটকুমড়া গ্রামের রাজমিস্ত্রি সোহেল খান ওরফে সোয়েবুর (৪০) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে লোহাগড়া থানা পুলিশ। এ ঘটনায় সবুজ শেখ (৩০) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি লোহাগড়া ইউনিয়নের মাদরাসা-কালনা গ্রামের মৃত আহাদ শেখের ছেলে।
রোববার (১০ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে লোহাগড়া থানার হলরুমে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম।
ওসি জানান, গত ৭ আগস্ট রাতে কিরাম খেলার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন মাইটকুমড়া গ্রামের ইউনুস খানের ছেলে রাজমিস্ত্রি সোয়েবুর। এরপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। পরদিন শুক্রবার (৮ আগস্ট) দুপুরে মাইটকুমড়া এলাকার একটি পুকুর থেকে সোয়েবুরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
রোববার (১০ আগস্ট) বিকেলে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় সবুজ শেখকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন, “আমাকে সে (সোয়েবুর) এক নারীর সঙ্গে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখে ফেলে। বিষয়টি সবাইকে বলে দিবে বলায় আমাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আমি গলা চেপে ধরে তাকে হত্যা করি।
তিনি আরও জানান, মরদেহ লুকানোর জন্য সোয়েবুরের গলায় থাকা গামছা দিয়ে পেছনে টেনে পুকুরে নিয়ে যান এবং কচুরিপনার মধ্যে মরদেহটি রেখে দেন। এরপর তার কাছে থাকা মোবাইলটি নিয়ে চলে যান। হত্যায় ব্যবহৃত গামছাটি কালনার মধুমতি নদীর ঘাটে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে পানিতে ফেলে দেন। মোবাইলের সিমটি ভেঙে বাড়ির পাশে ফেলে দেন এবং মোবাইলটি নিজ কক্ষের আলমারিতে রেখে দেন।
ওসি শরিফুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় নিহত সোয়েবুরের স্ত্রী রিক্তা বেগম বাদী হয়ে সবুজ শেখকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। সোয়েবুরের মোবাইল ফোনটিও উদ্ধার করা হয়েছে। আসামিকে সোমবার (১১ আগস্ট) আদালতে পাঠানো হবে।