নওগাঁ প্রতিনিধি
স্বৈরাচার পালিয়ে যাওয়ার কয়েকদিন পরে বিভিন্ন জেলার নেতাকর্মীদের সঙ্গে বসে আমি বলেছিলাম—অনেকে ভাবছে প্রতিপক্ষ তো মাঠে নেই, তাই হয়তো আগামী নির্বাচন কঠিন হবে না। তখনই বলেছিলাম, এই নির্বাচন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কঠিন হবে।
প্রায় এক বছর আগে আমি বলেছিলাম, অদৃশ্য শক্তি নানাভাবে ষড়যন্ত্র করছে। আজ আপনারা কি আমার সেই কথার মানে বুঝতে পারছেন? তবে যত ষড়যন্ত্রই হোক, ইনশাআল্লাহ আমরা সফল হব—যদি বিএনপি পরিবার ঐক্যবদ্ধ থাকে।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টায় নওগাঁ কনভেনশন সেন্টারে জেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন,
পত্র-পত্রিকা খুললেই দেখা যায়, সারা দেশে সংস্কার নিয়ে আলোচনা চলছে। অথচ আড়াই বছর আগে বিএনপিই দেশের মানুষের সামনে ৩১ দফা দিয়েছিল, যেখানে রাষ্ট্রকে জনগণের রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার সব প্রস্তাব ছিল।
আজ যারা সংস্কারের কথা বলছেন, তারা বলতে পারেন। মত প্রকাশের অধিকার সবার আছে। তবে বিএনপি অনেক আগেই এই সংস্কারের কথা বলেছে।
তারেক রহমান আরও বলেন,
বিএনপির দেশ পরিচালনার অভিজ্ঞতা আছে। এই দল জানে কিভাবে খাদ্য উৎপাদন দ্বিগুণ করতে হয়, নারীদের শিক্ষার আলোয় আনতে হয়, কোটি শ্রমিককে বিদেশে পাঠিয়ে কর্মসংস্থান করতে হয়, এবং দেশের মানুষের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হয়।
তিনি বলেন,
আমরা দেশের মানুষের কল্যাণেই ৩১ দফা দিয়েছি। স্বৈরাচারের সময় দেখেছি কীভাবে রাষ্ট্রকে ধ্বংস করা হয়েছে, আর বিএনপি জানে কীভাবে সেই রাষ্ট্রকে মেরামত করতে হয়। যদি ঘর না থাকে, মানুষ কোথায় যাবে? বাংলাদেশের ৫৫ হাজার বর্গমাইলই আমাদের ১৮ কোটি মানুষের একমাত্র আশ্রয়স্থল।
তারেক রহমান বলেন,
রাজনীতিতে সবচেয়ে বড় পুঁজি জনগণ। তাদের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করাই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। শহীদ জিয়ার সৈনিক হিসেবে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে, যাতে কোনো কাজের মাধ্যমে জনগণের আস্থা নষ্ট না হয়।
তিনি বলেন,
মামলা-হামলার শিকার হয়েছেন আপনারা। রাতের আঁধারে হেলমেট বাহিনী ও দলীয় পুলিশ অত্যাচার করেছে। তবে আল্লাহ চাইলে ভবিষ্যতে আপনারাই দেশ পরিচালনা করবেন।
তবে সাবধান থাকতে হবে কিছু ‘ঘুঘু’র ব্যাপারে। তারা নিজের স্বার্থে আসবে, ব্যবহার করবে, সুনাম নষ্ট করবে এবং দুঃসময়ে পালিয়ে যাবে। এদের থেকে সতর্ক থাকুন।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন নওগাঁ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক এস এম রেজাউল ইসলাম রেজু।
এছাড়া বক্তব্য দেন—বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, রাজশাহী বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম ও এ এইচ এম ওবায়দুর রহমান চন্দন, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা প্রমুখ।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.