রায়হান আহমদ,যবিপ্রবি প্রতিনিধি
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া কর্তৃক যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) স্থাপিত প্রথম ভিত্তিপ্রস্তর সংস্কার ও প্রধান ফটকে মর্যাদাপূর্ণ স্থানে পুনঃস্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা চার দফা দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। তবে প্রথম ভিত্তিপ্রস্তর সংস্কার ও প্রধান ফটকে স্থাপনের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ডে ইতোমধ্যে পাস হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (১৩ আগস্ট) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে শিক্ষার্থীরা যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ বরাবর চার দফা দাবি-সংবলিত স্মারকলিপি জমা দেন।
মানববন্ধন ও স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া কর্তৃক স্থাপিত যবিপ্রবির প্রথম ভিত্তিপ্রস্তরটি সঠিকভাবে মেরামত ও দীর্ঘমেয়াদে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। এটি মর্যাদার সঙ্গে প্রধান ফটকে পুনঃস্থাপন করতে হবে। পাশাপাশি, ভিত্তিপ্রস্তর ভাঙার সঙ্গে জড়িতদের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার ইতিহাস সঠিকভাবে শিক্ষার্থীদের মাঝে তুলে ধরার দাবি জানান তারা।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, আমাদের দাবিগুলো প্রশাসন ইতোমধ্যে রিজেন্ট বোর্ডে পাস করানোর কথা জানিয়েছেন। এজন্য প্রশাসনকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন হবে।
প্রথম ভিত্তিপ্রস্তর ও প্রধান ফটকের ইতিহাস স্মরণ করে যবিপ্রবির জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী আব্দুস সামাদ রানা বলেন, যবিপ্রবির রূপকার ছিলেন বৃহত্তর যশোর জেলার উন্নয়নের কারিগর, সাবেক মন্ত্রী মরহুম তরিকুল ইসলাম। তারই প্রেক্ষিতে ২০০৬ সালের ৫ অক্টোবর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যবিপ্রবির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং সে সময় ভিত্তিপ্রস্তরের সামনে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের স্থান নির্ধারণ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, সরকার পরিবর্তনের পর তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুস সাত্তার প্রধান ফটকের স্থান পরিবর্তন করেন এবং পরবর্তীতে প্রশাসনের ইন্দনে কিছু কর্মচারী ও ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মী ভিত্তিপ্রস্তরটি ভাঙচুর করে ইতিহাস মুছে দেওয়ার চেষ্টা করে। আমরা এসবের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গেলে একাডেমিক রেজাল্ট ও বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে আমাদের চুপ করিয়ে দেওয়া হয়।
সর্বোপরি, ভিত্তিপ্রস্তরটি দ্রুত মেরামত করে প্রধান ফটকের সামনে স্থানান্তরের জোর দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি নবীন শিক্ষার্থীরা যেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারে, সে ব্যবস্থা করার অনুরোধও করছি।