শামীম শেখ, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
প্রবাদে আছে -“ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে”
গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ শরিফুল ইসলামের ক্ষেত্রে কথাটি অনেকটাই প্রযোজ্য।
তিনি গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের সন্তান। নিজ এলাকার হাসপাতালে যোগদান করার পর সর্বসাধারণের চিকিৎসা সেবা দিয়ে তিনি গরিবের ডাঃ হিসেবে ব্যাপক পরিচিত পেয়েছেন। হাসপাতালের বাইরেও অন্য যে কোন সময়, যে কোন স্হানে তার কাছে গিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে কোন গরীব মানুষকে টাকার চিন্তা করতে হয়নি। উপরন্তু অনেককে তিনি নিজ অর্থে ওষুধ পর্যন্ত কিনে দেন।
২৬ অক্টোবর মঙ্গলবার সরেজমিন তার সঙ্গে েকটি নৌভ্রমণে গিয়ে তার চিকিৎসা সেবা দেয়ার তেমন নমুনা দেখতে পাওয়া গেল।
স্হানীয় বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে তিনি পদ্মা-যমুনা নদীর বিভিন্ন চরাঞ্চল সহ আশপাশের দর্শনীয় এলাকায় ট্রলার ভ্রমনে যান। ভ্রমনের এক ফাঁকে ভ্রমন দল গোয়ালন্দের রাখালগাছির চর এলাকায় পৌছায়। সেখানে একটি চায়ের দোকানে সংক্ষিপ্ত আড্ডার মধ্য দিয়ে তার পরিচয় জেনে যান এলাকায় লোকজন। এরপর আশপাশের অনেকেই তার কাছে এসে কুশল বিনিময় করে তাদের শারিরীক অসুস্থতার কথা জানান।ডাঃ শরিফুল অত্যন্ত খুশি মনে সেখানেই বেশ কয়েকজন রোগীকে অনেকটা সময় নিয়ে দেখেন। ব্যবস্হাপত্র লেখার মতো সাদা কাগজ না থাকায় ব্যবহৃত খাতা ও পুরোনো বইয়ের পাতাতেই ওষুধের নাম লিখে দেন। এতে সেবা পাওয়া ওই সকল রোগীরা অনেক খুশি হন। ফেরার সময় তারা তাকে হাসিমুখে বিদায় দেন।
আলাপকালে ডাঃ শরিফুল ইসলাম বলেন, আমি খুব দ্রুত এ এলাকায় একটি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করব। চেষ্টা করব চরের মানুষকে একটু ভালোভাবে স্বাস্থ্য সেবা দেয়ার।

