কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার মসূয়া ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ওরফে জহির মেম্বারের বিরুদ্ধে সরকারী বালুর ডাইক থেকে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় প্রশাসনের তৎপরতায় অবশেষে বৃহস্পতিবার (তারিখ উল্লেখযোগ্য হলে দেওয়া যাবে) বিকেলে কটিয়াদী উপজেলার বৈরাগীরচর গ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে ওই বালুর ডাইক থেকে অবৈধভাবে বালু বিক্রয়ের সময় অভিযান চালান সহকারী কমিশনার (ভূমি) লাবনী আক্তার তারানা। ঘটনাস্থলে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জহির মেম্বারকে বালু মহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ এর ১৫ (১) ধারায় ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।
প্রশাসনের তথ্যমতে, অভিযানে জব্দ করা হয় একটি বেকু মেশিন ও দুটি ট্রাক্টরচালিত লরি। এছাড়া সরকারী বালু স্থানীয় চেয়ারম্যান আবু বাক্কারের জিম্মায় রাখা হয়।
স্থানীয়দের মতে, ব্রহ্মপুত্র নদের নাব্যতা রক্ষায় একটি চলমান সরকারি প্রকল্পের আওতায় নদী খননের মাধ্যমে এই বালুর ডাইক তৈরি করা হয়েছিল। পরে নিয়ম অনুযায়ী এই বালু নিলামের মাধ্যমে বিক্রির কথা থাকলেও, জহিরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি প্রভাবশালী মহল সরকারি মালামাল আত্মসাৎ করে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আনুমানিক ১০ কোটি টাকার বালু ছিল ওই ডাইকে, যার মধ্যে প্রায় ৬ কোটি টাকার বালু ইতোমধ্যে বিক্রি করা হয়েছে। এখনও সেখানে প্রায় ৪ কোটি টাকার বালু অবশিষ্ট রয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, আওয়ামী সরকারের আমলেও জহিরুল ইসলাম সাবেক সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদের ভাগ্নে 'মুন'-এর ঘনিষ্ঠতা ব্যবহার করে বালুর ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নেয়। সরকার পতনের পরেও স্থানীয় কিছু সহযোগীকে শেয়ারে নিয়ে তিনি অবৈধভাবে বালু বিক্রি অব্যাহত রেখেছেন।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) লাবনী আক্তার তারানা বলেন,
“আমরা অভিযোগ পেয়েছি যে, মসূয়া ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি জহিরুল ইসলাম সরকারী বালুর ডাইক থেকে অবৈধভাবে বালু বিক্রি করছেন। সরেজমিনে গিয়ে এর সত্যতা পাই। তারা ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে দীর্ঘদিন ধরে সরকারি সম্পদ আত্মসাৎ করে আসছেন। আইন অনুযায়ী জরিমানা করা হয়েছে এবং সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে।”
উপজেলা বিএনপি সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ১৮ আগস্ট এক নোটিশের মাধ্যমে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে জহিরুল ইসলামকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। তবে মসূয়া ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি পদ থেকে এখনো তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়নি। ফলে যুবদলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ এখনও অব্যাহত রয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.