গিয়াস উদ্দিন মিয়া, গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দেবী দুর্গা পুজার বাকী আর কয়েকদিন। আর এরই মধ্যে শরতের শুরুতেই মর্তে বাজতে শুরু করেছে দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা। অন্যান্য বছরের মতো এবছরও বরিশালের গৌরনদী ও আগৈলঝাড়ায় উপজেলা পর্যায়ে সবচেয়ে বেশী পূজা মন্ডপ তৈরী হওয়ায় প্রতিমা নির্মাণ ও রং তুলিতে এখন মহাব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা।
গৌরনদী উপজেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি দুলাল রায় দুলু জানান, পঞ্জিকা মতে, আগামি ২১ সেস্টেম্বর মহালয়ার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে মর্তলোকে দেবীর আগমনী বার্তা বেঁজে উঠেছে। এ ছাড়া আগামি ২৮ সেপ্টেম্বর রবিবার ষষ্ঠী পুজার মধ্য দিয়ে দেবীর নবপত্র কল্পারম্ভ, ওইদিন মন্ডপে মন্ডপে বেঁজে উঠবে ঢাক-ঢোল আর কাঁসরের বাজনার শব্দ। পাঁচ দিন ব্যাপি শারদীয় দুর্গা পুজার সমাপ্তি ঘটবে। পূজা উপলক্ষে মন্ডব ও প্রতিমা গুলো সাজানো হচ্ছে নানা রংএ। রং তুলির নিপুন কাজে ফুটে উঠছে সৌন্দর্য।
এ বছর গৌরনদী উপজেলায় ৭৬ ও আগৈলঝাড়ায় বেড়ে ১৭৪ টি মন্ডপে পুজা অনুষ্ঠিত হবে। মন্ডব ও প্রতিমা গুলো সাজানো হচ্ছে নানা রংএ। রং তুলির নিপুন কাজে ফুটে উঠছে সৌন্দর্য। প্রতিমা শিল্পী শিবা পাল বলেন, ‘প্রতিমা তৈরী শেষে রং তুলিতে ব্যস্ত সময় পার করছি। আমাদের দিন রাত কাজ করতে হচ্ছে’।
হিন্দু নেতৃবৃন্দবলে জানিয়েছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ও কেন্দ্রীয় পুজা উদযাপন পরিষদের কয়েক দফা দফা শর্ত অনুযায়ি ধর্মীয় রীতি-নীতি মেনে এবছর পুজা অনুষ্ঠিত হবে ।
গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিফাত আরা মৌরি জানান, এ বছর গৌরনদী উপজেলায় ৭৬ আগৈলঝাড়ায় ১৭৪ টি মন্ডপে পুজা অনুষ্ঠিত হবে। পূজা নির্বিগ্নে ও শান্তিপূর্ন ভাবে হওয়ার জন্য একাধিকবার প্রশাসন ও মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে প্রস্তুতি সভা করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিনিটি পূজা মন্ডব সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে।
গৌরনদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো.তরিকুল ইসলাম ও আগৈলঝাড়া থানার ওসি ওলিউল ইসলাম জানান, ‘উপজেলার প্রতিটি পূজা মন্ডব সহ যাতায়াতের রাস্তা গুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। নিরাপত্তার জন্য পুলিশ বাহিনীর পাশাপাশি সাদা পোশাক ধারী আইন শৃক্ষলা রক্ষা বাহিনী, র্যাব, আনসার ও গ্রাম পুলিশ নিয়োজিত থাকবেন।