অশোক মুখার্জি,কলাপাড়া,(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
আমার নিরীহ সন্তান মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের ( বিএ) পড়ুয়া শিক্ষার্থী দুর্জয় হাওলাদারকে বাসায় ঘুম থেকে জাগিয়ে গ্রাম পুলিশের সহায়তায় ডেকে এনে গ্রেপ্তার করা হয়।
জমিজমার বিরোধকে কেন্দ্র করে একই এলাকার নিখিল কর্মকারের করা ডাকাতি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বর্তমানে দুর্জয় অসুস্থ অবস্থায় জেলখানায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। ছেলের শিক্ষাজীবন রক্ষার আকুতি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন গৃহিনী খুকুমনি হাওলাদার।
তিনি এই মামলাকে পরিকল্পিত ও সাজানো দাবি করে ছেলের অব্যাহতি চেয়েছেন। আজ রবিবার দুপুরে পটুয়াখালীর কলাপাড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে মা খুকুমনি এসব বলে কান্নাজুড়ে দেন। এই সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন গ্রামের হিন্দু মুসলিম সম্প্রদায়ের শতাধিক নারী-পুরুষ উপস্থিত থেকে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন। তারা দুর্জয়কে নির্দোষ দাবি করে মুক্তি চেয়েছেন।
তারা এমনও বলেন, একজন কলেজ শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন রক্ষায় এবং আইনের সঠিক প্রয়োগের স্বার্থে এই মামলাটির সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
কলাপাড়ার আমিরাবাদ গ্রামের বাসীন্দা খুকুমনি হাওলাদারের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তাঁর নিকটাত্মীয় গৌরি রায়।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়েছে, একই এলাকার নিখিল কর্মকারের বাড়িতে গত ২২ আগস্ট রাতে রহস্যজনক এক ডাকাতি হয়। এটি ছিল সাজানো একটি ঘটনা। যেখানে করা মামলায় বলা হয়েছে দূর্জয়ের নেতৃত্বে ডাকাতি সংঘঠিত হয়েছে। একমাত্র দূর্জয়ের নাম উল্লেখ বাকিসব অজ্ঞাত আসামি উল্লেখ করা হয়েছে। ভোর রাতে বাসা থেকে ঘুমন্ত অবস্থায় ডেকে তার ছেলে দূর্জয়কে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর থেকে দূর্জয় জেল হাজতে রয়েছে।
খুকুমুনির দাবি, ওই মামলায় বর্ণিত সময়ে তার ছেলে কী করছিল, কোথায় অবস্থান করেছে, এসব তদন্ত করলেই বোঝা যাবে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন- পড়শির বাড়িতে ডাকাতি করে কেউ বাসায় ঘুমিয়ে থাকে? মূলত জমিজমা সংক্রান্ত ঘটনায় নিখিল কর্মকার একাধিক ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে বিরোধ সৃষ্টি করায় তিনি চিহ্নিত হয়ে গেছেন। যার কারণে পরিকল্পিতভাবে হয়রাণির জন্য এই মামলাটি করা হয়েছে।
খুকুমনি তার কলেজ পড়–য়া ছেলের শিক্ষাজীবন রক্ষায় পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত স্বাপেক্ষ ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেন। বর্তমানে খুকুমনির স্বামীও এঘটনার পর থেকে পুলিশি গ্রেপ্তার আতঙ্কে পলাতক রয়েছে। দোকানপাট ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। পরিবারটি চরম বিপাকে পড়েছেন। বর্তমানে এ ঘটনাটি নীলগঞ্জের সর্বত্র আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়েছে।