গাইবান্ধা প্রতিনিধি
কৃষকের বৃহত্তর স্বার্থে বাজার স্থিতিশীল রাখতে বিদ্যমান সার নীতিমালা ২০০৯ বহাল রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশন গাইবান্ধা জেলা ইউনিট। গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে গতকাল সোমবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন থেকে অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ এই দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলম রিপন। লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, সার ডিলার নিয়োগ ও সার বিতরণ সংক্রান্ত সমন্বিত নীতিমালা ২০২৫ বাতিল করে বিদ্যমান সার নীতিমালা ২০০৯ অনুযায়ী ডিলারদের ডিলারশিপ বহাল রাখতে হবে। একই পরিবারের বাবা-ছেলে, স্বামী-স্ত্রী, ভাই-ভাইয়ের যদি পৃথক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিদ্যমান থাকে এবং সরকারের চাহিদা মাফিক প্রয়োজনীয় দলিল দস্তাবেজ উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়, তাহলে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক নিয়ম মোতাবেক ডিলারশিপ বহাল রাখতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তাব করা হয়, প্রতিটি ইউনিয়নে তিনজনের পরিবর্তে দুইজন ডিলার রাখা যেতে পারে। এছাড়াও উল্লেখ করা হয়, প্রতিনিধিদের মাধ্যমে ডিলারশিপ পরিচালনার বিধান রাখতে হবে, ডিলারদের পরিবহন খরচ ও কমিশন বৃদ্ধি করতে হবে। পরিবহন খরচ ও বিক্রয় কমিশন বৃদ্ধি ছাড়া সার ডিলার নিয়োগ সমন্বিত নীতিমালা ২০২৫ বাস্তবায়ন করা যাবে না।
সরকার কর্তৃক ভর্তুকি মূল্যে কৃষক পর্যায়ে সার বিক্রয় করা হয় এ ধরনের সারের ওপর কোনোভাবেই আগাম কর নির্ধারণ করা যাবে না। বিষয়টি দ্রæত নিষ্পত্তি করার দাবি জানানো হয়। সার ডিলার নিয়োগ ও সার বিতরণ সংক্রান্ত সমন্বিত নীতিমালা ২০২৫ বাস্তবায়িত হলে সারের বাজার অস্থিতিশীল এবং স্থানীয় পর্যায়ে মূল্য বৃদ্ধি পাবে।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে বলা হয়, নন ইউরিয়া সার কৃষকের চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ দেয়া হয় না। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংগঠনের জেলা সভাপতি সুদেব কুমার চৌধুরী, সহ-সভাপতি মো. আব্দুল মজিদ, সহ-সম্পাদক সৈয়দ কামরুল হাসান এমরান, সদস্য রেজাউল করিম, সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ হক্কানী প্রমুখ।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.