এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে হেরে টানা (৮ ম্যাচে) পরাজয়ের ধারা অক্ষুণ্ন রেখেছে পাকিস্তান। সেই ম্যাচ নিয়ে চুলছেড়া বিশ্লেষণ চলছে পাকিস্তানের ক্রিকেট মহলে। ওই ইস্যুতে মন্তব্য করে বিপাকে পড়েছেন শোয়েব মালিকের স্ত্রী সানা জাভেদ। সমালোচনার পর তিনি ইউটার্ন (পুরোনো অবস্থান থেকে সরে গিয়ে) করে নতুন ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে ১১.২ ওভারে ১০০ রান তুলেও চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে পাকিস্তান অলআউট হয় ১৪৬ রানে। তিলক ভার্মার ফিফটিতে ভর করে ২ বল এবং ৫ উইকেট হাতে রেখেই ভারত জয় নিশ্চিত করেছে। এর মধ্য দিয়ে ভারত মহাদেশীয় এই প্রতিযোগিতায় নবমবারের মতো শিরোপা জিতল। অন্যদিকে, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের পর আর জেতা হয়নি পাকিস্তানের। কেবল এবারের এশিয়া কাপেই তারা ৩ বার হেরেছে।
ফাইনাল শেষে সানা জাভেদ তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লেখেন, ‘যদি আজ শোয়েব মালিক পাকিস্তান দলে থাকত, তার অভিজ্ঞতা পুরো দল এবং সংশ্লিষ্ট সবার জন্য আলোকবর্তিকা হতে পারত। দলকে সাহস জোগানো এবং জয়ের প্রেরণা পেতে মাঠে কেবল তার উপস্থিতিই যথেষ্ট।’ মুহূর্তেই সানা জাভেদের সেই পোস্ট ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই তার মন্তব্যের সমালোচনা শুরু করে নেটিজেনরা। কেউ কেউ এই পোস্ট ‘শোয়েব মালিক নিজেই লিখেছেন’ বলেও খোঁচা দিয়েছেন।
সমালোচনার মুখে ওই অ্যাকাউন্ট থেকে বলা হয়, ‘আমি শোয়েব মালিকের উপস্থিতি দলে অপরিহার্য এমন কিছু বলতে চাইনি। তবে বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান কিংবা এরকম কোনো সিনিয়র ক্রিকেটারের দলে প্রয়োজনীয় বোঝাতে চেয়েছি। যারা দলের তরুণ ক্রিকেটারদের মানসিকভাবে সাহস ও নির্দেশনা দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।’
পরবর্তীতে আবার গতকাল নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে সমালোচিত ফেসবুক অ্যাকাউন্টটি ভুয়া বলে অভিযোগ করেছেন শোয়েবপত্নী সানা জাভেদ। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘অ্যালার্ট, এটি ভুয়া পেজ এবং আমি জানি না কীভাবে ভেরিফাইড হলো। এই অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া যেকোনো বিবৃতি কিংবা কন্টেন্টের কারণে বিভ্রান্ত হবেন না। আমি ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানিয়েছি। শিগগিরই তারা ভুয়া পেজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’
গত বছরের ২০ জানুয়ারি তৃতীয়বার পাকিস্তানি অভিনেত্রী সানা জাভেদের সঙ্গে বিয়ের পিড়িতে বসেন শোয়েব মালিক। এর মধ্য দিয়ে সাবেক ভারতীয় টেনিস কিংবদন্তি সানিয়া মির্জার সঙ্গে তার বিচ্ছেদ ঘটে। মালিক-সানার সেই বিয়ে নিয়ে ওই সময় প্রচুর আলোচনা-সমালোচনা হয়েছিল। এমনকি পাকিস্তানি অলরাউন্ডারের পরিবারও তা নিয়ে ছিল অসন্তুষ্ট।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.