কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় রোপা আমন ধানের খেতে গোড়া পচন বা খোল পচা রোগ দেখা দিয়েছে। কীটনাশক ও পচনরোধী ওষুধ ব্যবহার করেও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ফল। ফলে ধান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। ধানের ফলন নিয়ে তাদের কপালে পড়েছে গভীর দুশ্চিন্তা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ধান খেতে গোড়া পচন রোগের ব্যাপক সংক্রমণ ঘটেছে। নিয়মিত কীটনাশক স্প্রে করেও এর সুফল পাচ্ছেন না কৃষকরা। রাতারাতি রোগ ছড়িয়ে পড়ায় গাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে কৃষকরা মারাত্মক লোকসানের মুখে পড়বেন বলে আশঙ্কা করছেন।
আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নের কৃষক শাহারুল ইসলাম বলেন,“ধান আবাদ করেই সারা বছরের সংসার খরচ জোগাই। কিন্তু ধানে গোড়া পচন রোগে ফলন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছি। কীভাবে সামাল দেব বুঝতে পারছি না।”
আরেক কৃষক আব্দুস সবুর জানান,“সাত বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছি। নিয়মিত যত্ন নিয়েও এখন অনেক গাছ মারা যাচ্ছে। বারবার কীটনাশক দিচ্ছি, কিন্তু কাজ হচ্ছে না। কেবল খরচ বাড়ছে। যদি এভাবে চলতে থাকে, তাহলে সব শেষ হয়ে যাবে।”
কালাই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভাসহ মোট ১১ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কালাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ বলেন,“দিনে প্রচণ্ড রোদ আর ভোরে কুয়াশার কারণে ধানে পচন রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। বিশেষ করে নিচু জমিতে পানি জমে থাকায় সমস্যা আরও বেশি হচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন পোকার আক্রমণও দেখা দিয়েছে। তবে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সঠিক পরামর্শ দিতে আমাদের কর্মকর্তারা কাজ করছেন।”