মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি
নওগাঁর মান্দা উপজেলায় পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে জানা যায়, তিন মাস আগে দুর্ঘটনায় আহত এক ব্যক্তিকে ‘জখমপ্রাপ্ত’ দেখিয়ে সাজানো মামলা নেন মান্দা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফজলু রহমান। মামলায় ভুক্তভোগী পরিবারের এক নাবালিকা মেয়েকে ১৬ বছর বয়স থেকে ২০ বছর দেখিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি, মোটা অংকের টাকা না পেয়ে এবং ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে এসআই ফজলু রহমান তাদের পারিবারিক বিরোধের সুযোগ নিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। রায়হান আলী নামের ভুক্তভোগী বলেন, “আমার ভাতিজির বয়স ১৬ বছর হলেও পুলিশ তদন্ত ছাড়াই তাকে ২০ বছর দেখিয়েছে। আহত রেজাউল তিন মাস আগে চট্টগ্রামে দুর্ঘটনায় পায়ের দুটি আঙুল হারান। অথচ তাকে দিয়েই মিথ্যা মামলা সাজানো হয়েছে। বিএনপি নেতা দেলোয়ার গংকে খুশি করতে পুলিশ আমাদের ফাঁসিয়েছে।”
পরানপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “রেজাউল আসলেই চট্টগ্রামে কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পা হারায়। আমরা এলাকার লোকজন মিলে তার চিকিৎসার সহযোগিতা করেছি।”
অভিযোগের বিষয়ে এসআই ফজলু রহমান জানান, “আমি এজাহারে উল্লেখিত বয়স অনুযায়ী তথ্য লিখেছি। মেডিকেল থেকেও এমসি এসেছে।” তবে তদন্ত ছাড়াই বয়স বাড়িয়ে দেখানো প্রসঙ্গে তিনি সরাসরি কোনো উত্তর দেননি।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর রহমান বলেন, “মামলার দায়িত্বে ছিলেন এসআই ফজলু। তদন্ত না করে নাবালিকার বয়স ইচ্ছেমতো পরিবর্তন করলে এর দায় তাকেই নিতে হবে।”