বাকেরগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কবাই ইউনিয়নের কৃষক সোহেল হত্যা ধামাচাপা দিতে মানববন্ধন ও মামলা করেন সোহেল হত্যা মামলার প্রধান আসামি বিএনপি নেতা শাহিন হাওলাদার এর স্ত্রী ফারজানা আক্তার। টাকার বিনিময় হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতে মানববন্ধন ও করিয়েছেন তিনি।
হত্যাকারী শাহীন হাওলাদার সহ তিনজনই গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই স্থানীয় গণমাধ্যম ও প্রশাসনের লোককে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিভিন্ন অপকৌশল করছেন আসামিদের পরিবারের লোকজন।এই হত্যাকাণ্ডের মূল আসামিরা নিহত সোহেল খান, এর পরিবারদেরকে মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করছেন।বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে তারা।
উল্লেখ্য পূর্ব শত্রুতার জেরে কৃষক সোহেল কে আসামির হাত-পা বেঁধে পিটিয়ে হত্যা করছে বলে নিহতের পরিবারের দাবি, ঘটনার দিন গভীর রাতে প্রতিপক্ষের লোকজন সোহেলকে বাড়ী ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে।
শনিবার (২৭ সেপ্টম্বর) রাত ১১টার দিকে উপজেলার কবাই ইউনিয়নের উত্তর কবাই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের স্ত্রী সাজেদা বেগম জানান,গত ১৫ দিন আগে তার একটি বাচ্চা জন্ম নিয়েছে। সেজন্য তিনি শনিবার বাবার বাড়ীতে ছিলেন। ওইদিন রাত ১১ টার সময় একই গ্রামের শাহিন হাওলাদার তার স্বামী সোহেল খানকে লোক মারফত বাড়ী থেকে ডেকে নেয়। এরপর রাত ১২ টার দিকে বাড়ীর পার্শ্ববর্তী মসজিদের সামনে নিয়ে হাত-পা বেঁধে পিটিয়ে হত্যা করে। পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডকে ধামাচাপা দিতে রাত ১ টার সময় মসজিদের মাইকে এলাকায় ডাকাত পরেছে বলে প্রচার চালিয়ে মব সৃষ্টি করে।
নিহতের কণ্যা ৭ম শ্রেনীতে পড়ুয়া ফাতিমা আক্তার জানান, তার পিতা একজন কৃষক। তিনি ডাকাত নন। অথচ তরমুজ চাষের জমি লিজ না দেয়ায় শাহিন হাওলাদাররা এলাকায় মব সৃষ্টি করে পরিকল্পিতভাবে তার পিতাকে হত্যা করেছে। কান্নাজড়িত কন্ঠে প্রশ্ন রাখেন পিতার মৃত্যুর পর তার মা এবং তাদের পাঁচ ভাই বোনের দায়িত্ব কে নেবে?