ধোবাউড়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার একদল স্থানীয় ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা প্রচারণা ও মানহানি করার প্রতিবাদে কথিত সাংবাদিক মাহবুব আলম সরকারের বিচার দাবি করে শুক্রবার বিকেলে ধোবাউড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন রাশিদুল ইসলাম রাসেল, নুর ইবনে হাকিম ও মাসুম বিল্লাহ।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা দাবি করেন, মাহবুব আলম সরকার (পিতা আলতাফ সরকার, পৌর—গৌরীপুর থানা, ধোবাউড়া) দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন অনৈতিক কার্যক্রমে জড়িত—চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, হত্যা মামলার প্রতিবেশী ও নারীর প্রতি সহিংস আচরণসহ নানা অপকর্মের অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে। তারা আরও বলেন, বর্তমানে ধোবাউড়া ও দুর্গাপুর উপজেলার বালু মহাল আইনগতভাবে বন্ধ থাকলেও মাহবুব সরকার প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে বালুর গাড়ির লাইন দেয় এবং প্রতিটি গাড়ি থেকে ৩০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করে থাকে বলে অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি-প্রমাণ হিসেবে ভিডিও দেখানো হয়।
নুর ইবনে হাকিম সংবাদ সম্মেলনে একটি প্রতিবাদ লিপিও পাঠ করেন। তিনি বলেন, “আমরা কয়েকটি গাড়ি আটক করে গাড়ির চালকদের কাছে জানতে পেরেছি যে তারা মাহবুব সরকারকে ৩০০ টাকা করে দেয়। সেই ভিডিও আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিই। এরপর প্রতিহিংসার কারনে তিনি অনলাইন চ্যানেলে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও মানহানি প্রচার শুরু করেছেন।” নুর আরও জানান, রাশিদুল ইসলাম রাসেল পেশাগতভাবে দলিল লেখক ও গত ১১ নভেম্বর ২০২৫ এ ২নং গামারীতলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দ্বিবার প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছিলেন এবং সম্মানজনক ভোট পেয়েছেন; তিনি সমাজসেবী ও শান্তিচেতন ব্যক্তি—তবে মাহবুব সরকারের প্রচারণার কারণে তাঁদের পরিবার ও জীবনে কষ্ট চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিতরা আরো দাবি করেন যে মাহবুব সরকার সামাজিক পরিচয় ব্যবহার করে স্বাধীনভাবে সাংবাদিকতার নাম বিক্রি করে মানুষকে হেয় প্রতিপন্ন ও হয়রানি করছে; তাদের বক্তব্যে বলা হয়, তার বিরুদ্ধে একাধিকবার মাদক সংক্রান্ত গ্রেফতারি ঘটেছে, তিনি নারী নির্যাতন ও প্রতারণার অভিযোগেও জড়িত এবং স্থানীয় মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায় করে থাকেন। বক্তারা বলেন, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও নানাভাবে প্রাণনাশের হুমকির আশঙ্কা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনকারীরা স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ ও সদরহিল্লা সাংবাদিক সমিতির কাছে আকস্মিক নিরাপত্তা প্রদান ও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান। তারা অভিযোগের বিচার করে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে তীব্র প্রতিবাদ জানানোর হুঁশিয়ারি দেন।
উল্লেখ্য, এখানে অধিবক্তারা যে অভিযোগগুলো করেছেন সেগুলো তাদের বক্তব্য ভিত্তিক। অভিযুক্ত মাহবুব আলম সরকারের বক্তব্য বা প্রতিরক্ষা বিবৃতি সংবাদমাধ্যমে পাওয়া যায়নি; প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের রেকর্ড ও সূত্রে তদন্ত করা প্রয়োজন—এবং আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে অভিযোগের সত্যতা নির্ণয় করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রাশিদুল ইসলাম রাসেল, নুর ইবনে হাকিম, মাসুম বিল্লাহসহ স্থানীয় বিভিন্ন জন। তারা সাংবাদিকদের মাধ্যমে এ ঘটনায় নিবন্ধিত ও কার্যকরী তদন্ত ও দ্রুত বিচার দাবি করেছেন।