Nabadhara
ঢাকাশনিবার , ৪ অক্টোবর ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইতিহাস
  5. কৃষি
  6. খুলনা বিভাগ
  7. খেলাধুলা
  8. চট্টগ্রাম বিভাগ
  9. জাতীয়
  10. জেলার সংবাদ
  11. ঢাকা বিভাগ
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. ধর্ম
  14. প্রধান সংবাদ
  15. ফিচার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

খুলনায় জেলেদেরকে ৭৩.৪০ মেট্রিক টন চাল সহায়তা, ২২ দিনের ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা

রাসেল আহমেদ,খুলনা প্রতিনিধি
অক্টোবর ৪, ২০২৫ ৪:৫৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রাসেল আহমেদ,খুলনা প্রতিনিধি

ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণ ও ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আজ শনিবার
(৫ অক্টোবর) থেকে সারাদেশের মতো খুলনায়ও শুরু হয়েছে ২২ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা। এই সময়কালে নদ-নদী, মোহনা ও সাগরে ইলিশসহ যেকোনো ধরনের মাছ আহরণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ ও মজুদ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ থাকবে। নিষেধাজ্ঞাটি বলবৎ থাকবে আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত।

এই নিষেধাজ্ঞায় খুলনার ২ হাজার ৯৩৬ জন নিবন্ধিত ইলিশজেলে সাময়িকভাবে কর্মহীন হয়ে পড়ছেন। তাদের সহায়তায় সরকার মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় বরাদ্দ দিয়েছে ৭৩ দশমিক ৪০ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল। প্রতিজন জেলে পাবেন ২৫ কেজি করে চাল, যা ১২ অক্টোবরের মধ্যে বিতরণ সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বাংলা বর্ষপঞ্জির আশ্বিন মাসের ভরা পূর্ণিমার সময়ই ইলিশ মাছ ডিম ছাড়ে। এই সংবেদনশীল প্রজনন মৌসুমে সাগর থেকে মা ইলিশ ঝাঁকে ঝাঁকে দেশের নদ-নদীতে উঠে আসে। এই সময় ইলিশ ধরা বন্ধ রাখলে প্রাকৃতিকভাবে ইলিশের উৎপাদন বাড়ে—এমন লক্ষ্যেই প্রতিবছরের মতো এবারও ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার।

খুলনার তেরখাদা,দিঘলিয়া,
বটিয়াঘাটা, দাকোপ,পাইকগাছা ও ডুমুরিয়া—এই ছয়টি উপজেলার নদ-নদীতে ইলিশ আহরণ করেন নিবন্ধিত জেলেরা। তবে বরাদ্দপ্রাপ্ত চাল ডুমুরিয়া বাদে বাকি পাঁচ উপজেলার জেলেদের মধ্যেই বিতরণ করা হবে। জেলেরা জানিয়েছেন, মৌসুমের শুরুতে আশানুরূপ ইলিশ না পাওয়ায় তারা অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছেন। এই অবস্থায় নিষেধাজ্ঞা শুরু হওয়ায় তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। তাই দ্রুত ও স্বচ্ছভাবে সরকারি সহায়তা বিতরণের দাবি জানিয়েছেন তারা।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বদরুজ্জামান বলেন, ইলিশের প্রধান প্রজনন সময়কে ঘিরে এবার কঠোর নজরদারি থাকবে। নদ-নদীতে টহল জোরদার করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, বরাদ্দ পাওয়া চাল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিটি জেলের হাতে পৌঁছে দিতে উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে কাজ চলছে।

জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমান জানান, মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ভিজিএফ চাল বিতরণে কোনো অনিয়ম বরদাশত করা হবে না। কার্ডধারী জেলে ছাড়া অন্য কেউ যেন এই সহায়তা না পায়, তা নিশ্চিত করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই ডিও (ছাড়পত্র) ইস্যু করে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে চাল বিতরণ করতে হবে। বিতরণের সময় সংশ্লিষ্ট ট্যাগ অফিসার ও মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

সরকারের এই পদক্ষেপ ইলিশের টেকসই উৎপাদন নিশ্চিত করার পাশাপাশি জেলেদের মৌসুমি দুরবস্থার কিছুটা লাঘব করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে সহায়তা যেন যথাসময়ে ও প্রকৃত জেলেদের হাতেই পৌঁছায়, তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসনের তৎপরতা চেয়েছেন এলাকাবাসী।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।