সাইফুল ইসলাম, হিজলা বরিশাল থেকে
মৎস্য সম্পদ রক্ষায় আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে হিজলা উপজেলায়। এবার মৎস্য অভিযানে ব্যবহার করা হচ্ছে ড্রোন। উপজেলায় কর্মরত সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমের উদ্যোগে এই প্রযুক্তির ব্যবহার ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অসাধু জেলেদের কাছে ইতিমধ্যেই আতঙ্কের নাম হয়ে উঠেছেন তিনি। সততা, দক্ষতা ও চৌকস ভূমিকার মাধ্যমে তিনি মাছের অবৈধ শিকার রোধে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। ড্রোনের মাধ্যমে নদ-নদীতে নিষিদ্ধ জাল ও অবৈধ মাছ ধরার কার্যক্রম সহজেই শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে, যা অভিযানের সফলতা বাড়িয়ে তুলেছে।
স্থানীয়রা মনে করছেন, দক্ষিণাঞ্চলের মৎস্য সম্পদ রক্ষায় মোহাম্মদ আলমের এই সাহসী ও উদ্ভাবনী উদ্যোগ দেশের জন্য একটি অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। মৎস্য সম্পদ রক্ষায় ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শতভাগ সফলতা অর্জন করা সম্ভব বলে আশা প্রকাশ করেছেন হিজলা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম।
তিনি বলেন, ড্রোন ব্যবহারের ফলে অল্প সময়ে অসাধু জেলেদের শনাক্ত করা সহজ হবে। জেলেরা নদীর পাড়ে কিংবা মাছ ধরতে নদীতে নামলেই ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে দ্রুত তাদের সনাক্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে। মোহাম্মদ আলম আরও জানান, এই প্রযুক্তি সর্বোচ্চ ব্যবহার করা গেলে সীমিত জনবল নিয়েও সর্বোচ্চ সফলতা অর্জন করা সম্ভব।
তিনি মনে করেন, মৎস্য সম্পদ রক্ষায় ড্রোন প্রযুক্তি একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ, যা ভবিষ্যতে দেশব্যাপী বড় পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে। ড্রোনের পাঠানো ছবি: বাখরজা, মেহেন্দিগঞ্জ। সারি সারি মাছ ধরার ছেলেদের নৌকা ঘাটে বাঁধা সুযোগ পেলেই নদীতে আমার অপেক্ষায়।