আজহারুল ইসলাম, ধোবাউড়া (ময়মনসিংহ)

ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায় হোসাইন (১৮) নামে এক যুবকের বেদম প্রহারে মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার বলরামপুর গ্রামের ডগরা বিল থেকে তার আংশিক গলিত মরদেহ উদ্ধার করে ধোবাউড়া থানা পুলিশ। রহস্যজনক এই মৃত্যু ঘিরে পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

নিহত হোসাইন ধোবাউড়া উপজেলার গুজিরকান্দি গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার (১ অক্টোবর) হোসাইন নিখোঁজ হন। এরপর থেকে পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজে বেড়াচ্ছিলেন। শনিবার দুপুরে স্থানীয়রা ডগরা বিলে অর্ধগলিত অবস্থায় একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে তার পরিবার এসে মরদেহটি হোসাইনের বলে শনাক্ত করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত হোসাইনের সঙ্গে বলরামপুর গ্রামের জালাল উদ্দীনের মাদ্রাসা পড়ুয়া মেয়ে হ্যাপি আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তবে মেয়ের পরিবার সেই সম্পর্ক মেনে নিতে রাজি ছিল না। এলাকাবাসীর দাবি, এই প্রেমঘটিত বিরোধের জের ধরেই হোসাইনকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।

হ্যাপি আক্তার জানান, “মাদ্রাসা যাওয়া-আসার পথে হোসাইন আমাকে বিভিন্নভাবে বিরক্ত করতো। প্রায় সময় আমাদের বাড়ির আশপাশে ঘোরাফেরা করতো। তবে তার মৃত্যু কিভাবে হয়েছে, তা আমি জানি না।”
মেয়ের মা দাবি করেন, “এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের পরিবারের কেউ জড়িত নয়।”

হোসাইনের পরিবারের দাবি, হ্যাপির সঙ্গে তার ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তারা এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করেছেন।

ধোবাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আল মামুন সরকার জানান, “খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।”
এছাড়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন হালুয়াঘাট সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাগর সরকার।