দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদীর আকষ্মিক ভাঙ্গনে শঙ্কায় পড়েছে গ্রামবাসী। পদ্মার পানি কমতে থাকায় নদীভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ফলে প্রতিদিনই নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি ও বিভিন্ন স্থাপনা। হুমকির মুখে পড়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে পদ্মার ভাঙ্গন রোধে নির্মিত প্রায় ৫ কোটি টাকার জিও ব্যাগ ফেলার চলমান প্রকল্প।
নদী তীরবর্তী এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে পদ্মা নদীর পানি কমার সাথে সাথে মরিচা ইউনিয়নের কোলদিয়াড় গ্রামের নীচ দিয়ে বয়ে যাওয়া পদ্মা নদীতে ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। কোলদিয়াড় থেকে হাটখোলা পাড়া বাজার পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এ ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে।
এলাকাবাসীর শঙ্কা এভাবে ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে পদ্মার ভাঙ্গন রোধে প্রায় ৫ কোটি টাকার জিও ব্যাগ ফেলার চলমান প্রকল্প যেকোন মুহুর্তে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। এর ফলে শুধুমাত্র মরিচা ইউনিয়নই নয়, পার্শ্ববর্তী ভেড়ামারা উপজেলার রাইটা পাথরঘাটা থেকে দৌলতপুরের আল্লারদর্গা বাজার সংযোগ সড়ক, রাইটা-মহিষকুন্ডি বন্যা নিযন্ত্রণ বাঁধ, ভুরকা-বৈরাগীরচর সড়কসহ বিস্তীর্ণ এলাকার জনজীবন হুমকির মুখে পড়বে। পদ্মাগর্ভে বিলীন হবে এলাকার শত সহস্র মানুষের ঘরবাড়ি, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ-ভারত বিদ্যুৎ সঞ্চলান লাইন এবং মসজিদসহ নানা স্থাপনা ও ফসলি জমি। তাই ভাঙ্গনরোধে দ্রæত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে এলাকাবাসী জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন করেছে।
এদিকে পদ্মার ভাঙ্গনরোধে রোধে শনিবার বিকেলে উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের কোলদিয়াড় এলাকায় নদীপাড়ে মানববন্ধন করে ভূক্তভোগী এলাকাব শত শত নারী-পুরুষ।
পদ্মা নদীর ভাঙ্গন প্রসঙ্গে কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. রোকনুজ্জামান জানান, দুই এক দিনের মধ্যে নদীভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করে ভাঙ্গনরোধে জরুরী ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.