মনিরামপুর (যশোর)প্রতিনিধি
বেতন বৈষম্যসহ ছয়দফা ন্যায্য দাবিতে সারাদেশের মতো যশোরের মনিরামপুরেও পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতিতে রয়েছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিএইচএএ) উদ্যোগে ১ অক্টোবর থেকে এই অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। এর ফলে উপজেলার প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম, বিশেষ করে রুটিন টিকাদান (EPI) কার্যক্রমে মারাত্মক স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। এতে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যে সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
রবিবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন মনিরামপুর উপজেলা শাখার আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় এক বিক্ষোভ সমাবেশ। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ইসমাইল হোসেন এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন—কামরুজ্জামান, বেলাল হোসেন, রাশিদা খানম, মহিতোষ মন্ডল, আশিকুর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান, আবু হাসান, তৌহিদুর রহমান, বাপন মিত্র, নাসরিন নাহার, নিশাত ফৌজিয়া, মঞ্জুর রাহী, জাহিদ হোসেন, সঞ্জয় কুমার বসু, রোকনুজ্জামান, সুচিত্রা বিশ্বাস, রাহিমা খাতুন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, স্বাস্থ্য সহকারীরা দেশের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার মূল চালিকাশক্তি। অথচ তাদের ন্যায্য দাবি এখনও উপেক্ষিত। তারা দাবি করেন—
১. নিয়োগবিধি সংশোধন ও শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক (বিজ্ঞান) সংযোজন,
২. স্বাস্থ্য সহকারীদের ১৪তম গ্রেডে উন্নীতকরণ,
৩. ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমাধারী স্বাস্থ্য কর্মীদের ১১তম গ্রেড প্রদান,
৪. কাজের প্রকৃতি অনুযায়ী টেকনিক্যাল পদমর্যাদা নিশ্চিতকরণ,
৫. পদোন্নতিতে ধারাবাহিকভাবে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির নিশ্চয়তা,
৬. বেতন বৈষম্য দূরীকরণ।
তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মবিরতি চলবে এবং প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, স্বাস্থ্য সহকারীদের দাবি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত বাস্তবায়ন করা হোক, যেন দেশের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.