মোঃমিজানুর রহমান, কালকিনি- ডাসার(মাদারীপুর) প্রতিনিধি
মাদারীপুরের কালকিনিতে দুই গ্রুপের সাথে দফায়-দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘঠেছে। এসময় জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৫জন কর্মী সমর্থক আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বা¯’ কমপ্লেক্সসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে ঘটনা¯’লে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ান করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও এলাকা সুত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর-৩ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মেজর রেজাউল করিম (অব.) তার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে একটি মিছিল দিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ প্রশাসনের সাথে সৌজন্য স্বাক্ষাত করতে আসেন। মিছিলটি পরিষদ চত্বরে আসলে তাদের মিছিলে বাঁধা প্রদান করেন একদল দূর্বৃত্ত। এ সময় কথার কাটা-কাটির এক পর্যায় উভয় পক্ষের মাঝে দফায়-দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাতক চাকমা, কালকিনি থানার ওসি কেএম সোহেল রানাসহ উভয় পেেক্ষর কমপক্ষে ১৫জন কর্মী সমর্থক আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বা¯’ কমপ্লেক্সসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদিকে ঘটনা¯’লে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ান করা হয়েছে।
মেজর রেজাউল করিম (অব.) বলেন, আমি প্রশাসনের সাথে সৌজন্য স্বাক্ষাত করতে আসলে আমার কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা চালায় খোকনের লোকজন। এতে আমার প্রায় ১৫জন কর্মী সমর্থক আহত হয় আমি হামলাকারীদের নামে মামলা করবো।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফজলুল হক বেপারী বলেন, আওয়ামী লীগের লোকজন নিয়ে রেউল করিম রেজা উপজেলা পরিষদ চত্বরে জয় বাংলার শ্লোগান দেয়ায় দুই পক্ষের সাথে মারা-মারির ঘটনা ঘটেছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাইফ উল আরেফীন বলেন, মারা-মারির ঘটনা দেখতে পেরে আমি প্রশাসনের লোকজন নিয়ে পরি¯ি’তি নিয়ন্ত্রনে এনেছি।
এ ব্যাপারে জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাতক চাকমা বলেন, কালকিনিতে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় আমি ও কালকিনি থানার ওসি আহত হয়েছি। এবং এ সময় বেশ কিছু লোকজন আহত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তবে এ ঘটনায় মামলা দিলে মামলা নেয়া হবে।