Nabadhara
ঢাকামঙ্গলবার , ৭ অক্টোবর ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইতিহাস
  5. কৃষি
  6. খুলনা বিভাগ
  7. খেলাধুলা
  8. চট্টগ্রাম বিভাগ
  9. জাতীয়
  10. জেলার সংবাদ
  11. ঢাকা বিভাগ
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. ধর্ম
  14. প্রধান সংবাদ
  15. ফিচার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ঘুষ কেলেঙ্কারি: বেনাপোলে কাস্টমস কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের অভিযান

হুমায়ুন কবির মিরাজ, বেনাপোল
অক্টোবর ৭, ২০২৫ ৬:৫৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

হুমায়ুন কবির মিরাজ, বেনাপোল

বেনাপোল কাস্টমস হাউসে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক অভিযানে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। টানা ২৪ ঘণ্টার নাটকীয়তার পর শেষ পর্যন্ত ঘুষ কেলেঙ্কারির ঘটনায় কাস্টমস কর্মকর্তাকে আটক করেছে দুদক।

সোমবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে যশোর জেলা দুদকের উপপরিচালক মো. সালাউদ্দিন আহাম্মেদের নেতৃত্বে একটি দল বেনাপোল কাস্টমস হাউসে আকস্মিক অভিযান চালায়। অভিযানকালে রাজস্ব, মূল্যায়ন ও প্রশাসনিক শাখাসহ একাধিক কক্ষে তল্লাশি চালানো হয়।

তল্লাশির সময় রাজস্ব কর্মকর্তা শামীমা আক্তার ও তার সহযোগী স্থানীয় একটি এনজিও কর্মী হাসিব উদ্দিনকে ঘুষের ২ লাখ ৭৬ হাজার টাকাসহ হাতেনাতে আটক করা হয়।

তবে এর পরপরই সৃষ্টি হয় নাটকীয় পরিস্থিতি। আটক করার পর ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করলেও কাস্টমস কর্মকর্তা শামীমা আক্তারকে ছেড়ে দেওয়া হয়। শুধু এনজিও কর্মী হাসিব উদ্দিনকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে স্থানীয় জনতা, যারা পরে রাত ৯টার দিকে কাস্টমস হাউসের সামনে দুদকের গাড়ি অবরুদ্ধ করে রাখে প্রায় আধা ঘণ্টা।

দুদকের টিম অভিযানের পর দীর্ঘ ৫ ঘণ্টা বেনাপোল কাস্টমস কমিশনারের কক্ষে ‘গোপন বৈঠক’ করে। বৈঠকের সময় সাংবাদিকদের বারবার ব্রিফিংয়ের আশ্বাস দিলেও রাত ৮টার দিকে কোনো তথ্য না দিয়েই কৌশলে স্থান ত্যাগ করতে চান তারা।

তবে সাংবাদিকদের চাপের মুখে দুদক কর্মকর্তারা স্বীকার করেন, ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে কাস্টমস কর্মকর্তা শামীমা আক্তার ও এনজিও কর্মী হাসিব উদ্দিনকে টাকা সহ আটক করা হয়েছে। তাদের ভাষ্যমতে, শামীমা আক্তার নিজেই স্বীকার করেছেন তিনি হাসিব উদ্দিনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন অনৈতিক সুবিধা হিসেবে।

ঘুষের ঘটনা প্রমাণিত হওয়ার পরও শামীমা আক্তারকে ছেড়ে দেওয়া এবং এনজিও কর্মীকে দায়ী করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ায় দুদক কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন উপস্থিত স্থানীয়রা ও গণমাধ্যমকর্মীরা। তারা এ ঘটনাকে ঘিরে ‘মীমাংসার অপচেষ্টা’ ও ‘পেছনে কোনো প্রভাবশালী মহলের চাপ’ থাকার সন্দেহ করছেন।

এই ঘটনার পর এলাকায় চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। অনেকে দাবি করছেন, কাস্টমস হাউসে দীর্ঘদিন ধরেই ঘুষ ও দুর্নীতি চললেও এবার তা প্রমাণসহ ধরা পড়ায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি উঠেছে।


জনমতের চাপে এবং গণমাধ্যমে বিষয়টি উঠে আসার ফলে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।