নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শরমীন এস মুরশিদ বলেছেন, “সব জায়গায় পোকামাকড়ের মতো দূর্নীতি ছড়িয়ে আছে। যেখানে হাত দিচ্ছি, সেখানেই ঝাড়ু দিতে হচ্ছে।” তিনি বলেন, “আমরা ফেরেশতা না, কিংবা আল্লাহর পক্ষ থেকে নাজিল হয়ে আসিনি। জাদুর কাঠি দিয়ে একদিনে সব কিছু বদলে দেওয়া সম্ভব না। তবে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।”
মঙ্গলবার বিকেলে গাজীপুরের টঙ্গীর নতুন বাজার এলাকায় শারীরিক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টের অধীনে পরিচালিত মৈত্রী শিল্প কারখানা পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “যুগ যুগের আবর্জনার মধ্যে কাজ করছি। দূর্নীতি আর অব্যবস্থাপনা এমনভাবে শিকড় গেড়েছে যে, প্রতিটি খাতে হাত দিলেই সংস্কারের প্রয়োজন পড়ে। আমরা এখন ‘মুক্তা পানি’ প্রকল্পে কাজ করছি। এটা একটি সংষ্কারের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই প্রতিষ্ঠানটি সরকারের কাছ থেকে প্রতিবছর ২২ কোটি টাকা ভর্তুকি নেয়, অথচ এটি স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার কথা ছিল।”
তিনি আরও বলেন, “যদি সময় পাই, তাহলে মুক্তা পানিকে দেওয়া এই বিশাল ভর্তুকি বন্ধ করে দেব। কারণ এর চেয়ে ছোট ছোট বেসরকারি প্রকল্পও নিজেদের আয় দিয়ে টিকে থাকতে পারে, তারা কোনো ভর্তুকি নেয় না।”
প্লাস্টিক বোতল নিয়ে তিনি বলেন, “পানির ক্ষেত্রে এখনো আমরা প্লাস্টিকের বিকল্প পাইনি। তাই আমি চাইবো, মুক্তা পানিতে প্লাস্টিক গবেষণা সেল গড়ে তোলা হোক।”
এ সময় উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ, শারীরিক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক কাজী মাহবুবুর রহমান এবং কারখানা ব্যবস্থাপক মহসিন আলীসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘মৈত্রী শিল্প’ বর্তমানে প্লাস্টিকসহ ১২৮টি পণ্য উৎপাদন করে থাকে। প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ১২৫ জনের মধ্যে ৯৭ শতাংশই শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী।