মাদারীপুর প্রতিনিধি
ঢাকা–বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের তাঁতিবাড়ি এলাকায় সড়ক বিভাগের জমি দখল করে গড়ে উঠেছে প্রায় অর্ধশতাধিক অবৈধ দোকানপাট। সম্প্রতি ওই মহাসড়কের জমিতে একটি টিনের ঘর নির্মাণ করায় স্থানীয় এক পরিবারের চলাচলের একমাত্র রাস্তাও বন্ধ হয়ে গেছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে পড়লেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ এখনো নেওয়া হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মহাসড়কের উভয় পাশে দীর্ঘদিন ধরে জমি দখল করে দোকানপাট নির্মাণ করছেন এলাকার প্রভাবশালীরা। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন মজিবর মাতুব্বর, আনোয়ার দর্জি, ফোরকান হাওলাদার, ইয়ার হোসেন, শাহ আলম খান ও আমিন মোল্লা। এদের অধিকাংশই রাজনৈতিক বা সামাজিকভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসনও কার্যত নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বাসিন্দা জানান, মজিবর মাতুব্বর সম্প্রতি জব্বার মাতুব্বরের ঘরের সামনের রাস্তায় টিনের ঘর তুলে দেন, ফলে ওই পরিবারের স্বাভাবিক চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
“একাধিকবার অনুরোধ করা হলেও তিনি ঘর সরাননি। স্থানীয় প্রশাসনের লোকজনও এসে কোনো ব্যবস্থা নেননি,”— বলেন এক ভুক্তভোগী।
স্থানীয়রা জানান, মহাসড়কের পাশে অবৈধ দোকানগুলোর কারণে প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই থাকে। বিশেষ করে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তির সীমা নেই। এছাড়া যানজটের কারণে প্রায়ই ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।
তাঁতিবাড়ি এলাকার বাসিন্দারা দ্রুত এই অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের দাবি জানান।
ঘটমাঝি ইউনিয়নের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আক্তার হোসেন বলেন,
“ইউএনও স্যার এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন চেয়েছিলেন, আমি তা পাঠিয়ে দিয়েছি।”
সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) একজন কর্মকর্তা বলেন,
“মজিবর মাতুব্বরকে ঘর সরিয়ে নিতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সড়কের জায়গায় যারা দোকান নির্মাণ করেছেন তাদের সবাইকেই চিঠি দেওয়া হবে।”
মাদারীপুর সদর উপজেলার ইউএনও ওয়াদিয়া শাবাবা বলেন,
“বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। খুব শিগগিরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”