মোঃ ইব্রাহীম মিঞা, দিনাজপুর প্রতিনিধি
সাম্প্রতিক সময়ে কিছু সংবাদ মাধ্যমে “বিরামপুর সেটেলমেন্ট অফিসে পর্চা ও নকশা সরকারি নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে তিন গুণ বেশি দামে বিক্রি” এবং “মাঠ জরিপের নামে অর্থ আদায়” সংক্রান্ত যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
সংবাদে যাদের ‘দালাল’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, তাদের সাথে কথা বলে জানা যায়—তারা কোনোভাবেই দালাল নন। তারা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন উপজেলায় মাঠ বদর আমিন (জরিপ সহকারী) হিসেবে কাজ করে আসছেন। বর্তমানে অন্য উপজেলায় কাজ না থাকায় নিজ এলাকায় ভূমি মাপযোগ সংক্রান্ত কাজে সহযোগিতা করেন। তারা জানান, ভূমি বিষয়ে আমাদের কিছু বাস্তব অভিজ্ঞতা আছে। অনেক সময় ভূমি মালিকরা বিভিন্ন সমস্যায় পরামর্শ নিতে আমাদের কাছে আসে। প্রয়োজন হলে আমরা তাদের সাথে সেটেলমেন্ট অফিসে যাই এটা কোনো অবৈধ কাজ নয়।
অভিযোগে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তাদের কয়েকজন সরাসরি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। অভিযুক্ত আফজাল বলেন, আমি সেটেলমেন্ট অফিসের কোনো কর্মচারী নই। পর্চা বিক্রি বা অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
অন্যদিকে, যাদের বক্তব্য সংবাদে ‘ভুক্তভোগী’ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে, তাদের দাবির সত্যতা যাচাই না করেই সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে সংশ্লিষ্টদের সামাজিক ও পেশাগত সম্মানহানি ঘটেছে।
সেটেলমেন্ট অফিসের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অফিসে সরকারি নির্ধারিত মূল্য তালিকা অনুযায়ীই পর্চা ও নকশা সরবরাহ করা হয়, এবং এর বাইরে কোনো অর্থ আদায়ের প্রশ্নই আসে না।তারা বলেন, আমরা স্বচ্ছতা ও নিয়ম মেনে কাজ করে থাকি। এমন ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদে সাধারণ মানুষের মনে বিভ্রান্তি ছড়ানো দুঃখজনক।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মেহেদী হাসান
কার্যালয়ঃ দেশ ভিলা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়া সড়ক, জিটি স্কুল সংলগ্ন, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ।
মোবাইলঃ ০১৭১৮-৫৬৫১৫৬, ০১৯৯৫-৩৮৩২৫৫
ইমেইলঃ mehadi.news@gmail.com
Copyright © 2025 Nabadhara. All rights reserved.