Nabadhara
ঢাকাবুধবার , ৮ অক্টোবর ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইতিহাস
  5. কৃষি
  6. খুলনা বিভাগ
  7. খেলাধুলা
  8. চট্টগ্রাম বিভাগ
  9. জাতীয়
  10. জেলার সংবাদ
  11. ঢাকা বিভাগ
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. ধর্ম
  14. প্রধান সংবাদ
  15. ফিচার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

স্বাস্থ্যসেবায় নতুন দিগন্ত: মডেল হতে পারে মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
অক্টোবর ৮, ২০২৫ ৮:১১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি


স্বাস্থ্যসেবায় বৈপ্লবিক উন্নয়নের মাধ্যমে দেশজুড়ে নজর কাড়ছে যশোরের মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। আধুনিক চিকিৎসা সুবিধা, সেবার মানোন্নয়ন ও রুগীবান্ধব পরিবেশের কারণে এটি দেশের অন্যান্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর জন্য একটি অনুকরণীয় মডেল হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম উপজেলা মনিরামপুর, যেখানে প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। ১৯৬৪ সালে মোহনপুর মৌজায় মেডিকেল ট্রেনিং সেন্টার হিসেবে যাত্রা শুরু করা এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি বর্তমানে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বর্তমানে এখানে কর্মরত আছেন ১৭ জন চিকিৎসক ও ২৮ জন নার্স।

হাসপাতালটিতে আধুনিকতার ছোঁয়া এনে চালু করা হয়েছে এনসিডি কর্নার, মানসিক রোগীদের জন্য ‘মনের বাড়ি’, আইএমআইসি, ইপিআই, স্বাস্থ্য ও শিশুশিক্ষা কর্নার। রয়েছে ২৪ ঘণ্টা ইসিজি সেবা, ডিজিটাল এক্স-রে, আল্ট্রাসনোগ্রাফি ও প্যাথলজি সুবিধা। প্রতি মাসে এখানে গড়ে ৪০-৪৫টি নরমাল ডেলিভারি ও ১৫-২০টি সিজারিয়ান অপারেশন সম্পন্ন হয়।

রোগীদের জন্য বিনামূল্যে ডায়াবেটিস, ইনসুলিন, ইনহেলারসহ শতাধিক প্রকার ওষুধ সরবরাহ করা হয়। এছাড়া রোগী ও স্বজনদের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে বিশ্রামাগার, মসজিদ, মাল্টিপারপাস হল, স্যানিটেশন ব্যবস্থাসহ পরিচ্ছন্ন, ফুলে-ফলে সাজানো একটি নান্দনিক পরিবেশ।

সেবাগ্রহীতাদের অভিমত অনুযায়ী, স্বাস্থ্যসেবার মান ও আন্তরিকতায় সন্তুষ্ট সবাই। কাশিপুর গ্রামের ৭০ বছরের ইনতাজ আলী বলেন, “ডায়াবেটিস ও পিসারের রোগী আমি। হাসপাতালে বই করে দিয়েছে, ডাক্তার দেখায়, ওষুধ নিই – আমি খুব খুশি।” আগরহাটি গ্রামের আমেনা খাতুন জানান, “তিন দিন হলো মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছি, সেবা পেয়ে মেয়ে এখন অনেক ভালো।”

হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফরা জানাচ্ছেন, আগের তুলনায় রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। আধুনিক পদ্ধতিতে সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা হাসপাতালেই সম্পন্ন হচ্ছে। সরকারের রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, একবার সাপে কাটা রোগীকে যশোর বা খুলনায় পাঠানোর প্রয়োজন হলেও মনিরামপুরেই চিকিৎসায় সে সুস্থ হয়ে ওঠে—ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

চিকিৎসকদের মধ্যে চিএইচএ ডা. ফাইয়াজ আহমদ ফয়সাল ও আরএমও ডা. অনুপ কুমার বসুর তত্ত্বাবধানে গঠিত একটি দক্ষ চিকিৎসক দল নিয়মিত সেবা দিচ্ছেন। গাইনী বিভাগে ডা. ডায়না, মেডিসিন কনসালটেন্ট ডা. সুমন কবীর, মেডিকেল অফিসার ডা. ফরিদুল, ডা. নাহিদ, ডা. দেবাশীষসহ অনেকেই সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করেছেন।

আরএমও ডা. অনুপ কুমার বসু বলেন, “প্রতিদিন আউটডোরে ৫০০-৬০০ রোগী দেখা হয়। আধুনিক সেবা ও নান্দনিক পরিবেশের কারণে রোগী বাড়ছে।”

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. ফাইয়াজ আহমদ ফয়সাল বলেন, “মনিরামপুরকে মডেল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রূপ দিতে হলে দ্রুত শূন্য পদে জনবল নিয়োগ, বিশেষ করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও টেকনোলজিস্ট নিয়োগ জরুরি। নতুন ভবন ও আধুনিক সরঞ্জাম নিশ্চিত করা গেলে এবং ‘মনের বাড়ি’-এর মতো প্রকল্পগুলো বিস্তৃত করলে দেশের অন্যান্য উপজেলাও এ পথ অনুসরণ করতে পারবে।”

মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স বর্তমানে একটি সম্ভাবনাময় রোল মডেল—যেখানে সরকারি ব্যবস্থাপনায়ও উচ্চমানের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া সম্ভব তা প্রমাণ করছে প্রতিদিন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।