ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও দখলদার ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে সম্মত হওয়ার পর গাজার সাধারণ মানুষের মধ্যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছে। তবে অনেকেই নিহত স্বজনদের কথা মনে করে কাঁদছেন।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। এরপরই গাজায় তৈরি হয় অন্যরকম এক পরিস্থিতি। মানুষ উচ্ছ্বাস শুরু করেন। অনেকে নিহতদের স্মরণ করে কাঁদতে থাকেন।
সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে ৩৮ বছর বয়সী উম হাসান বলেছেন, “সাধারণত আমরা বোমার শব্দ, ধ্বংস, রকেট এবং খারাপ সংবাদ নিয়ে ঘুম থেকে জেগে ওঠি। কিন্তু আজ আমরা ভালো সংবাদে জেগে উঠেছি।”
“আনন্দে ছোট বড় সবাই চিৎকার শুরু করে। কিন্তু যারা স্বজন হারিয়েছেন তাদের মনে পড়তে থাকে স্বজনদের কথা। আমরা যারা স্বজন হারিয়েছি, ভাবছি কীভাবে তাদের ছাড়া বাড়ি ফিরে যাব।”
নিজের ছেলের কথা স্মরণ করে উম হাসান বলেন, “আমি আমার ছেলেকে হারিয়েছি। তার বয়স ছিল মাত্র ১৬ বছর। আজ সকালে যখন আমরা যুদ্ধবিরতির খবর জানতে পারলাম, এটি একইসঙ্গে আমাদের জন্য সুখ ও দুঃখ নিয়ে এসেছে। যারা স্বজন হারিয়েছে তারা প্রত্যেকেই অত্যন্ত ব্যথিত। তারা ভাবছেন কীভাবে এই স্বজনদের ছাড়া তারা বাড়ি ফিরে যাবে।”
এদিকে আজ ইসরায়েলি মন্ত্রিসভায় যুদ্ধবিরতিটির অনুমোদন দেওয়া হবে। এরপর এটি কার্যকর হবে। যদিও বলা হচ্ছিল দুপুর থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়ে গেছে। তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে স্পষ্ট করা হয়, মন্ত্রিসভার ভোটাভুটির পরই যুদ্ধবিরতি শুরু হবে।
সূত্র: বিবিসি