আব্দুল জলিল, সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জ-কাজিপুর-ধুনট-ভায়া শেরপুর মহাসড়কের নির্মাণ কাজে পূর্বে প্রস্তুতকৃত নকশা বাদ দিয়ে নতুন জরিপের মাধ্যমে ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি অধিগ্রহণের উদ্যোগে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন জমির মালিকরা। তারা পূর্বের নকশা অনুযায়ী খাসজমি ব্যবহার করে সড়ক নির্মাণের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে গণস্বাক্ষরিত একটি আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন।
সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের কৃষ্ণগোবিন্দপুর মৌজার সোনামুখী বাজারের চৌরাস্তা থেকে পশ্চিমে ইছামতী সেতু পর্যন্ত প্রায় ১২ বিঘা খাস জমি রয়েছে। ২০২৪ সালে সড়ক ও জনপথ বিভাগ এই অংশে একটি ডিজিটাল জরিপের ভিত্তিতে নকশা চূড়ান্ত করে এবং সেই নকশা অনুযায়ী ভূমি অধিগ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকের দপ্তরে প্রস্তাব পাঠায়।
তবে সম্প্রতি সওজ পূর্বের সেই নকশা পরিত্যাগ করে নতুন করে ব্যক্তিমালিকানাধীন জমির উপর দিয়ে সড়ক সম্প্রসারণের পরিকল্পনা নেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে এলাকাবাসী পূর্বের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবি জানান।
ভুক্তভোগী মোর্শেদ বলেন, “আমরা আগেও রাস্তার জন্য জমি দিয়েছি। এখন আবার আমাদের জমি কেন অধিগ্রহণ করতে হবে, যেখানে খাস জমি রয়েছে?”
আরেক জমির মালিক আব্দুল জলিল বলেন, “আগের নকশা অনুযায়ী সড়ক নির্মিত হলে রাস্তা সোজা হবে, যানজট কমবে এবং সরকারেরও অর্থ সাশ্রয় হবে।”
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী সড়ক নির্মাণ হলে অনেকেই ভিটেমাটি হারাবেন এবং একই পরিবার দ্বিতীয়বারের মতো জমি হারাবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সিরাজগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী ইমরান ফারহান সুমেলের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, পূর্বে শহীদ এম মনসুর আলী সড়ক নির্মাণের সময় ২০১৬ সালে এক দফা জমি অধিগ্রহণ করা হয়। এবার একই রুটে পৃথক প্রকল্পের আওতায় আবারও ভূমি অধিগ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী।