Nabadhara
ঢাকামঙ্গলবার , ১৪ অক্টোবর ২০২৫
  1. অর্থনীতি
  2. আইন-আদালত
  3. আন্তর্জাতিক
  4. ইতিহাস
  5. কৃষি
  6. খুলনা বিভাগ
  7. খেলাধুলা
  8. চট্টগ্রাম বিভাগ
  9. জাতীয়
  10. জেলার সংবাদ
  11. ঢাকা বিভাগ
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. ধর্ম
  14. প্রধান সংবাদ
  15. ফিচার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কেশবপুরের ভান্ডারখোলা মাদরাসায় নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ, জড়িত ৩ জন

যশোর প্রতিনিধি
অক্টোবর ১৪, ২০২৫ ৭:৩২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

যশোর প্রতিনিধি

কেশবপুর উপজেলার ভান্ডারখোলা দাখিল মাদরাসায় শূন্য চারটি পদে নিয়োগ নিয়ে ব্যাপক অনিয়ম ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় অভিভাবক, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও শিক্ষকদের অভিযোগ—মাদরাসার সভাপতি রাসেলুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত সুপার আব্দুল কাদের এবং অফিস সহকারী হাফিজুর রহমান মিলে গোপনে নিজেদের পছন্দের প্রার্থীদের নিয়োগ দিতে মোটা অংকের টাকার লেনদেনে লিপ্ত রয়েছেন।

সূত্র জানায়, মাদরাসায় বর্তমানে সুপার, এবতেদায়ী প্রধান, ল্যাব সহকারী ও দপ্তরি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। তবে এই চারটি শূন্য পদের জন্য কোনো জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও, তা গোপন রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মাদরাসার শিক্ষকরাও কবে ও কোন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি ছাপা হয়েছে, তা জানাতে পারেননি। জানা গেছে, বিজ্ঞপ্তি শুধুমাত্র সভাপতি, ভারপ্রাপ্ত সুপার ও অফিস সহকারীর হেফাজতে রয়েছে।

ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ওজিয়ার রহমান, হাফিজুর রহমান (অন্য ব্যক্তি), টিআর সদস্য আতাউর রহমান, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আব্দুল আলিম খান ও বিদ্যোৎসাহী সদস্য জাকির হোসেন অভিযোগ করেছেন—কমিটির অধিকাংশ সদস্যকে নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়ে অন্ধকারে রাখা হয়েছে এবং তাদের মতামত উপেক্ষা করা হচ্ছে।

স্থানীয়রা বলছেন, গত ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের পরই এই নিয়োগ বাণিজ্যের পায়তারা শুরু হয়। অভিযোগ রয়েছে, এক মুরগি ব্যবসায়ীকে সভাপতি বানিয়ে আর্থিক লেনদেন, ভয়ভীতি দেখানো এবং জাল সনদধারী শিক্ষকদের ব্যবহার করে নিয়োগ নিশ্চিত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জাল সনদধারী শিক্ষক লাভলী ইয়াসমিনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী।

রোববার সরেজমিনে গেলে ভারপ্রাপ্ত সুপার আব্দুল কাদের ও অফিস সহকারী হাফিজুর রহমানকে মাদরাসায় পাওয়া যায়নি। ফোনে যোগাযোগ করলে তারা সাংবাদিকদের কেশবপুর উপজেলা পরিষদে যেতে বলেন। সেখানে সাক্ষাৎকালে অফিস সহকারী হাফিজুর রহমান স্বীকার করেন, “আমরা আমাদের পছন্দের প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করছি।” একই সুরে ভারপ্রাপ্ত সুপার আব্দুল কাদেরও অভিযোগ অস্বীকার করলেও তার সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।

এ বিষয়ে কেশবপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার শেখ ফিরোজ আহমেদ বলেন, “কোনো অনিয়ম বরদাশত করা হবে না। নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন করতে যা যা করা দরকার, তাই করা হবে।”

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।