আহাদুল ইসলাম জয়,গোবিপ্রবি, প্রতিনিধি
স্বাধীনতার চেতনা, গণতান্ত্রিক অঙ্গীকার এবং প্রজন্মের মুক্ত চিন্তার দিগন্ত প্রসারিত করার লক্ষ্যে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো “প্রেরণায় জুলাই গণঅভ্যুত্থান ৩য় আন্তঃবিভাগ বিতর্ক প্রতিযোগিতা -২০২৫”।
গোবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটি কর্তৃক আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ ও বিভাগের মোট ২২টি দল অংশ নিয়েছে। তিনদিন ব্যাপী এই বির্তক উৎসবের গত ১২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছে ট্যাব রাউন্ড ও কোয়ার্টার ফাইনাল। যেখানে ২২ টি দলের মধ্যে থেকে প্রথম ৮টি দলকে কোয়ার্টার ফাইনালের জন্য উত্তীর্ণ করা হয়। পরবর্তীতে ১৩ সেপ্টেম্বর কোয়ার্টার ফাইনালে জয়ী ৪ টি দল পৌঁছে যায় সেমিফাইনালে।
এরপর আজ সবচেয়ে প্রতীক্ষিত মুহূর্ত বিতর্কের গ্র্যান্ড ফাইনাল রাউন্ড টি অনুষ্ঠিত হয়। গ্র্যান্ড ফাইনালে অংশ নেয় ২ টি দল- বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ। ফাইনাল রাউন্ডে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ এবং রানারআপ হয় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ।
ফাইনাল পর্ব এবং পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য মহোদয়, উপ-উপাচার্য মহোদয়, ট্রেজারার মহোদয় এবং শিক্ষকমন্ডলী। এছাড়াও গোবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটির সম্মানিত মডারেটর ও উপদেষ্টাগণ উপস্থিত ছিলেন। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তর,রোডস এন্ড হাইওয়ে ডিপার্টমেন্ট এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এর কর্মকর্তাবৃন্দ। একই সাথে বার্ষিক ম্যাগাজিন “সাম্য” এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
উক্ত আয়োজনের “আহ্বায়ক” মো: ইমন হোসেন বলেন “এই প্রতিযোগিতা শুধুমাত্র বিতর্কে বাগ্মিতার আসর নয়; বরং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনায় অবিচল থেকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো, গণমানুষের মুক্তির জন্য কণ্ঠস্বর তোলা এবং নতুন বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন জাগানোর এক প্রেরণাদায়ক আয়োজন।”
অংশগ্রহণকারী দলগুলোর বিতর্কে উঠে আসে সমসাময়িক রাজনীতি, সামাজিক দ্বন্দ্ব, অর্থনীতি থেকে শুরু করে মানবিক মূল্যবোধ ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট-যা তরুণ প্রজন্মকে যুক্তিনির্ভর ও দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করবে বলে আয়োজকদের বিশ্বাস।
গোবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটির প্রত্যাশা, এ আয়োজন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের দেশপ্রেম ও গণতান্ত্রিক স্পৃহাকে পুনর্জাগ্রত করবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্ক সংস্কৃতিকে আরও সমৃদ্ধ করবে।