নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্ভাবিত নতুন জাত ব্রি ধান-১০৩ এর ফসল কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে স্থানভিত্তিক ধানের জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন (এলএসটিডি) প্রকল্পের উদ্যোগে। বুধবার (১৫ অক্টোবর ২০২৫) বিকেলে পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার দুর্গাপুর মধ্যপাড়ায় এ মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) আঞ্চলিক কার্যালয়, সিরাজগঞ্জের প্রিন্সিপাল সাইন্টিফিক অফিসার ও প্রধান ড. হীরেন্দ্র নাথ বর্ম্মন। প্রধান অতিথি ছিলেন ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন, প্রিন্সিপাল সাইন্টিফিক অফিসার ও প্রকল্প পরিচালক, এলএসটিডি প্রকল্প-ব্রি।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড. মোঃ মহি উদ্দিন, পরিচালক (অবসরপ্রাপ্ত), বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট; মোঃ আসাদুজ্জামান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, সুজানগর, পাবনা; মোঃ সেন্টু রহমান, সাইন্টিফিক অফিসার, ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয়, সিরাজগঞ্জ এবং স্থানীয় কৃষক মোঃ রবিউল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, চলতি আমন ২০২৫ মৌসুমে সুজানগর উপজেলায় এলএসটিডি প্রকল্পের আওতায় ১ একর জমিতে ৭০টি জাতের প্রদর্শনী স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে ব্রি ধান-১০৩ উল্লেখযোগ্য ফলন দেখিয়েছে।
নমুনা ফসল কর্তনে দেখা গেছে, ১ বিঘা (৩৩ শতক) জমিতে ২৬ মণ ধান উৎপাদিত হয়েছে, যা প্রচলিত আমন মৌসুমের যেকোনো জাতের চেয়ে বেশি ফলন। জাতটির জীবনকাল ১২৮-১৩৩ দিন, ফলে কৃষকরা পরবর্তী মৌসুমে পিঁয়াজ ও সরিষা চাষে বাড়তি সময় পাচ্ছেন। এছাড়া এই জাতের ধানে পোকামাকড় ও রোগের আক্রমণ কম, ফলন বেশি এবং খড়ের মান উন্নত—ফলে কৃষকরা বেশ সন্তুষ্ট।
ব্রির বিজ্ঞানীরা মাঠ দিবসে ধান চাষে আধুনিক প্রযুক্তি ও টেকসই কৃষি পদ্ধতি সম্পর্কে কৃষকদের অবহিত করেন এবং আগামী দিনে আরও ফলনবর্ধক জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
স্থানীয় কৃষকরা বলেন, ব্রি ধান-১০৩ জাতটি তাদের জীবনে আশার আলো জাগিয়েছে। কম সময় ও কম খরচে বেশি ফলন পাওয়ায় তারা এই জাতের ধান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

