রাসেল আহমেদ, খুলনা প্রতিনিধি
খুলনার তেরখাদা উপজেলার আদর্শ শিক্ষা নিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় একটিও সাফল্য আসেনি। প্রতিষ্ঠানটির আটজন পরীক্ষার্থীই অকৃতকার্য হয়েছেন। ১৩ জন শিক্ষক-কর্মচারী থাকা এবং অবকাঠামোগতভাবে উন্নত প্রতিষ্ঠান হয়েও শতভাগ ব্যর্থতার এই ফলাফল এলাকায় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি অনুমতি পায় আদর্শ শিক্ষা নিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ। সে বছর ১১ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়, যার মধ্যে আটজন ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। কিন্তু দুঃখজনকভাবে কেউই উত্তীর্ণ হতে পারেনি।
বর্তমানে কলেজটিতে ১৩ জন শিক্ষক ও কর্মচারী কর্মরত আছেন। তবে উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হওয়ায় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি খুবই কম। শিক্ষকরা নিয়মিত পাঠদান করলেও শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় আগ্রহের অভাব এবং অনুপস্থিতি ফলাফলে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বলে জানা গেছে।
ফলাফলের বিষয়ে জানতে চাইলে কলেজের প্রধান শিক্ষক উদ্ভব কুমার মোহান্ত বলেন, “শিক্ষার্থীদের নিয়মিত উপস্থিতির অভাব ও পড়াশোনায় অনাগ্রহের কারণেই এমন ফল হয়েছে। আমরা আগামী শিক্ষাবর্ষে ক্লাসে উপস্থিতি নিশ্চিত ও পাঠদানের মান উন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগ নেব।”
স্থানীয় অভিভাবক ও শিক্ষানুরাগীরা বলেন, শুধু ভবন ও শিক্ষক থাকলেই মানসম্মত শিক্ষা হয় না। শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকের সক্রিয় অংশগ্রহণই একটি প্রতিষ্ঠানের সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।