দুমকি (পটুয়াখালী)প্রতিনিধি
সত্য, সাহস ও সুন্দরের অভিযাত্রায় সাফল্যের সঙ্গে তিন বছর পূর্ণ করে চতুর্থ বর্ষে পদার্পণ করল দেশের জনপ্রিয় জাতীয় দৈনিক ‘কালবেলা’।
“আমাদের গৌরবের তিন বছর” — এই শ্লোগানে পটুয়াখালী জেলা কালবেলা পরিবার এক বর্ণিল অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পত্রিকাটির তৃতীয় বর্ষপূর্তি উদযাপন করেছে।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় পটুয়াখালীর দুমকিতে পায়রা সেতুর পাদদেশে, নদীর তীরে মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক পরিবেশে আয়োজন করা হয় এই উৎসবের। কেক কাটা, আলোচনা সভা ও নানান আয়োজনে দিনটি পরিণত হয় এক মিলনমেলায়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. হেমায়েত জাহান। জেলা প্রতিনিধি ইশরাত লিটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ জাকির হোসেন, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ওলিউল ইসলাম, পটুয়াখালী প্রেসক্লাব সভাপতি ও দৈনিক সাথী সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সরকারি জনতা কলেজের সহকারী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান আসাদ এবং শহিদুল ইসলাম।
এছাড়াও বিভিন্ন পেশাজীবী, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি ড. হেমায়েত জাহান তাঁর বক্তব্যে মনোরম পরিবেশে এমন বর্ষপূর্তি উদযাপনকে ‘দৃষ্টান্তমূলক আয়োজন’ বলে প্রশংসা করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, কালবেলা ভবিষ্যতেও গবেষণাধর্মী ও ইতিবাচক সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে দেশ ও জেলার উন্নয়নে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ জাকির হোসেন সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “সংবাদ পরিবেশনায় সর্বদা বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।”
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ওলিউল ইসলাম বলেন, “সংবাদকর্মীরাই সমাজের দর্পণ; তাদের কলমের শক্তিতেই সমাজের প্রকৃত অগ্রগতি নির্ভর করে।”
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাব দুমকির সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন, ইনকিলাব প্রতিনিধি ও দুমকি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান খানসহ আরও অনেকে। বক্তারা কালবেলা পত্রিকার সাফল্য কামনা করে এর বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
পটুয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত প্রতিনিধি ও অতিথিদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটি এক আনন্দমুখর উৎসবে রূপ নেয়।
নদীপাড়ের শান্ত, মনোরম পরিবেশে আয়োজিত এই বর্ণিল বর্ষপূর্তি উদযাপন শেষ পর্যন্ত পরিণত হয় কালবেলা পরিবারের এক আন্তরিক মিলনমেলায়।