রাসেল আহমেদ, খুলনা প্রতিনিধি
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, তরুণ সমাজকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও মাদক থেকে দূরে রাখতে খেলাধুলার বিকল্প নেই। ক্রীড়াই পারে যুবসমাজকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে এবং একটি সুস্থ প্রজন্ম গড়ে তুলতে।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে খুলনার দিঘলিয়ার আলহাজ্ব মদিয়া স্বাধীন গ্রাউন্ড মাঠে আয়োজিত “আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ১৬ দলীয় ফুটবল টুর্নামেন্ট”-এর ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আজিজুল বারী হেলাল বলেন, বিএনপি সরকার গঠন করলে দিঘলিয়াকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলা হবে, যেখানে প্রতিটি ইউনিয়নে থাকবে ক্রীড়াঙ্গন ও সাংস্কৃতিক বিকাশের সুযোগ। তিনি আরও বলেন, “দিঘলিয়ার মাঠগুলোকে উন্নত করা গেলে এখানকার তরুণরা দেশের সীমানা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও নিজেদের অবস্থান তৈরি করতে পারবে।”
তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, দিঘলিয়ার হাজীগ্রাম মিনি স্টেডিয়ামকে পূর্ণাঙ্গ স্টেডিয়ামে রূপান্তর করা হবে। খেলাধুলা শুধু বিনোদন নয়, এটি সমাজ গঠনের এক শক্তিশালী হাতিয়ার বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বক্তৃতায় তিনি দিঘলিয়ার সমৃদ্ধ ক্রীড়াঐতিহ্যের কথা স্মরণ করে বলেন, “একসময় দিঘলিয়া ওয়াই এম এ ক্লাব খুলনার প্রথম বিভাগ ফুটবলে অন্যতম শক্তিশালী দল ছিল। এখানকার বহু ক্রীড়াবিদ জাতীয় পর্যায়ে দেশের সুনাম বয়ে এনেছেন। নতুন প্রজন্মের হাত ধরে দিঘলিয়া আবারও সেই গৌরবে ফিরবে।”
অনুষ্ঠানে খুলনা জেলা বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু, যুগ্ম আহবায়ক খান জুলফিকার আলী জুলু, মোল্লা খাইরুল ইসলাম, অধ্যাপক মনিরুল হক বাবুল, দিঘলিয়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মো. সাইফুর রহমান মিন্টু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রকিব মল্লিক এবং জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সেতারা সুলতানা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন হাজীগ্রাম ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এস এম মিজানুর রহমান এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান শেখ।
চরম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ফাইনাল খেলায় হাজীগ্রাম একাদশ ট্রাইব্রেকারে ৫–৪ গোলে পানিগাতী একাদশকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। খেলা শেষে বিজয়ী দলের হাতে ট্রফি ও পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি আজিজুল বারী হেলাল।
বক্তব্যের শেষে তিনি আহ্বান জানান, “দিঘলিয়ার তরুণরা যেন মাঠে ফিরে আসে—ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল কিংবা এথলেটিক্স—সব ক্ষেত্রেই দিঘলিয়া হবে খুলনার ক্রীড়ার প্রাণকেন্দ্র। ক্রীড়াই পারে তরুণদের সঠিক পথে রাখতে এবং সমাজকে সন্ত্রাস ও মাদকের অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে।”