মাসুদুর রহমান খান ভুট্টু, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে স্বর্ণালংকার লুটের উদ্দেশ্যে ঘরে ঢুকে মা–মেয়েকে খুন করা হয় বলে স্বীকার করেছে ধরা পড়া আসামি পারভেজ হোসেন। শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আকতার হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি গ্যারেজ থেকে পারভেজকে গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরে তাঁকে লক্ষ্মীপুরে আনা হয়। পারভেজ রামগঞ্জ উপজেলার সোনাপুর গ্রামের মৃত আবদুল করিমের ছেলে। নিহত তানহা মীমের ফুফাতো ভাই তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, পারভেজের জবানবন্দি অনুযায়ী ঘটনার দিন তিনি মামার বাড়িতে যান। মামি জুলেখা বেগম ও মামাতো বোন তানহা মীম তাঁকে আপেল–আমড়া খেতে দেন। কিছুক্ষণ পর বাড়ির দ্বিতীয় তলায় প্রথমে তানহাকে, এরপর মামি জুলেখা বেগমকে গলা কেটে হত্যা করেন পারভেজ।
হত্যার পর পারভেজ নিজের রক্তমাখা পোশাক খুলে ব্যাগে রেখে মামাতো ভাইয়ের প্যান্ট–গেঞ্জি পরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। পরে রামগঞ্জের একটি খালে রক্তমাখা পোশাক ফেলে দেন। পুলিশ ওই খাল থেকে পোশাক উদ্ধার করেছে। তাঁর শ্বশুরবাড়ি থেকেও মামাতো ভাইয়ের গেঞ্জি ও খুনের পর লুট করা সাত ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়েছে।
এসপি আকতার হোসেন জানান, পারভেজের মূল উদ্দেশ্য ছিল মামার বাড়ির স্বর্ণালংকার লুট করা। প্রথমে ভয় দেখানোর পরিকল্পনা থাকলেও ধরা পড়ার আশঙ্কায় তিনি হত্যাকাণ্ড ঘটান। দুই মাস আগে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরে আর্থিক সংকটে পড়ে এই অপরাধের পথে যায় পারভেজ।
উল্লেখ্য, গত ৯ অক্টোবর রাতে রামগঞ্জ উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়নের উত্তর চণ্ডীপুর গ্রামে মা–মেয়েকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। নিহতরা হলেন স্থানীয় সোনাপুর বাজারের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানের স্ত্রী জুলেখা বেগম (৪৫) এবং তাঁদের মেয়ে তানহা মীম (১৮)। তানহা মীম রামগঞ্জ মডেল কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।