শামীম শেখ, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী)
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার তেনাপচা গ্রামের বাসিন্দা ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) পরিবহন বিভাগের কনস্টেবল (বিএ-১৭৭৯৮) শাজাহান মোল্লার বিরুদ্ধে প্রবাসীদের জমি দখল, সরকারি নির্দেশ অমান্য ও মসজিদ নির্মাণে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, কনস্টেবল শাজাহান মোল্লা জোরপূর্বক প্রতিবেশী প্রবাসীদের মালিকানাধীন জমিতে টয়লেটসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। এমনকি জমির গাছপালা কেটে ফেলেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত আলেয়া বেগম, শরিফা বেগম ও বর্ণা বেগম গত ২৮ আগস্ট পুলিশ হেড কোয়ার্টারে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হেড কোয়ার্টার মহাখালি ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনারকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেয়। তদন্তের অংশ হিসেবে বাদী ও বিবাদী উভয়কে আগামী ১৯ অক্টোবর সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে মহাখালীর কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, এসিল্যান্ড ও ইউএনও’র নির্দেশ সত্ত্বেও কনস্টেবল শাজাহান একাধিকবার অবৈধভাবে নির্মাণকাজ চালিয়ে গেছেন। এমনকি ইউএনও কর্তৃক স্থাপিত সীমানা পিলারও উপড়ে ফেলেন। পরবর্তীতে মসজিদের জমিতে পুনরায় কাজ শুরু করতে গেলে তিনি ও তার পরিবার বাধা প্রদান করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনাস্থলে ইউএনও ও এসিল্যান্ডের উপস্থিতিতে জায়গা মেপে পিলার স্থাপন করা হলেও কনস্টেবল শাজাহান সেটি মানতে অস্বীকৃতি জানান। এতে মসজিদ নির্মাণকাজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে এবং মালামাল খোলা আকাশের নিচে নষ্ট হচ্ছে।
স্থানীয় শিক্ষক নুরুল ইসলাম মামুন হোসেন বলেন, “দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে মসজিদের কাজ বন্ধ রয়েছে। প্রশাসন জায়গা মেপে নির্ধারণ করে দিলেও শাজাহান মোল্লা তা মানছেন না।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, “এক বছর আগে বিকেল ৪টার দিকে বৃষ্টির মধ্যে শাজাহান মোল্লা ও তার পরিবারের সদস্যরা পুরোনো পিলার তুলে বাদীদের জমির ভেতরে নতুন পিলার বসান।”
অভিযুক্ত কনস্টেবল শাজাহান মোল্লা এ বিষয়ে বলেন, “আমার জমির সঠিক মাপ বুঝে পাইনি। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো মিথ্যা ও পরিকল্পিত। তারা আমার চাকরিক্ষতির উদ্দেশ্যে এসব করছে।”
ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, তারা বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।