নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার গাংগাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান নয়নসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, লুটপাট ও মারধরের অভিযোগে নান্দাইল মডেল থানায় একটি নিয়মিত মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
অরন্যপাশা গ্রামের হাজী মৃত মমতাজ উদ্দিন ভূইয়ার পুত্র মোঃ আহসান হাবীব ওরফে সবুজ মিয়া মামলাটি দায়ের করেন। এজাহার সূত্রে জানা যায়, বাদীর ময়মনসিংহ–কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের পূর্ব পাশে ২ একর ৫০ শতক জমিতে একটি ইটভাটা ছিল, যা আগে জনৈক আবদুল জলিল ভাড়া নিয়ে পরিচালনা করতেন। ভাড়ার মেয়াদ শেষ হলে আহসান হাবীব নিজেই জলিলের কাছ থেকে ইটভাটা ক্রয় করে ব্যবসা শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন।
এ সময় গত ১৮ মে ২০২৪ তারিখে গাংগাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান নয়ন তার কাছে ইটভাটা চালু রাখার শর্তে নগদ ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে নয়নের নেতৃত্বে কামরুজ্জামান কামরুল, মনিরুজ্জামান বিজয়, আনিছুজ্জামান চন্দন, আশরাফুজ্জামান অরন্য, পারভেজ সরকার ও শামসুল হকসহ ১৫-২০ জন ধারালো অস্ত্র নিয়ে ইটভাটায় হামলা চালায়।
এ সময় তারা ইটভাটার কর্মচারী আলাল উদ্দিন ভূইয়া ও এশার উদ্দিন ভূইয়াকে মারধর করে মারাত্মকভাবে আহত করে এবং ভাটার মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। বাদীর দাবি অনুযায়ী, এতে প্রায় ২ কোটি ৮৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
প্রথমদিকে আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে আসাদুজ্জামান নয়নের প্রভাবের কারণে স্থানীয় থানা মামলা রেকর্ড না করলেও, পরে বাদী ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে পুনরায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করলে পুলিশ মামলা নেয়।
মামলাটি নান্দাইল মডেল থানায় ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩৭৯/৩৮৫/৩০৭/৫০৬/১১৪/৩৪ ধারায় নিয়মিতভাবে রেকর্ড করা হয়েছে (মামলা নং: ১০, তারিখ: ১০/১০/২০২৫)।
নান্দাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার জালাল উদ্দিন মাহমুদ বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পর মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। উপপরিদর্শক শাহ মুজাহিদুল ইসলামকে তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে।”