বিকেলে কখনো কি মনে হয়েছে যে আপনার শক্তি শেষ হয়ে যাচ্ছে, আর তখন শুধু মিষ্টিজাতীয় খাবার খেতে ইচ্ছা করে? আচ্ছা, যদি আমরা আপনাকে বলি যে দুপুরের পর চিনি সম্পূর্ণরূপে বাদ দেওয়ার অভ্যাস আপনার জন্য গেম-চেঞ্জার হতে পারে? পুরো দুই সপ্তাহ ধরে দুপুরের পর মিষ্টি, বিস্কুট এবং চিনিযুক্ত পানীয় ত্যাগ করার চেষ্টা করুন। এটা শুনতে কঠিন মনে হতে পারে, কিন্তু বিশ্বাস করুন, এটা কার্যকরী। এতে আরও ভালো ঘুমাতে পারবেন, আরও উদ্যমী বোধ করবেন এবং এমনকি সেই মিষ্টি কিছু খাওয়ার আকাঙ্ক্ষাও দমন করতে পারবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক ২ সপ্তাহ দুপুরের পর চিনি খাওয়া বাদ দিলে শরীরে কী ঘটে-
বিকেলে শরীর দুর্বল মনে হলে আমাদের অনেকেই মিষ্টিজাতীয় খাবারের দিকে ঝুঁকে পড়েন। কিন্তু চিনি থেকে প্রাপ্ত এই শক্তি ক্ষণস্থায়ী এবং বেশিরভাগ সময়ে এর ফলে এক ধাক্কা লাগে, যা আমাদের আগের তুলনায় আরও বেশি ক্লান্ত করে তোলে। দুপুরের খাবারের পর চিনি বাদ দেওয়ার কয়েকদিন পর, লক্ষ্য করে দেখবেন যে আপনার শক্তি সারা বিকেল ধরে স্থিতিশীল থাকে, যা আপনাকে আরও স্বাচ্ছন্দ্যে দিন কাটাতে সাহায্য করে।
চিনি রক্তে শর্করার মাত্রার সঙ্গে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে এবং মস্তিষ্ককে রাতের তুলনায় আরও বেশি সজাগ রাখতে পারে। যারা দুপুরের পরে মিষ্টি খাবার এড়িয়ে চলেন তারা দ্রুত ঘুমিয়ে পড়েন এবং ঘুম থেকে উঠে আরও সতেজ বোধ করেন। জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল স্লিপ মেডিসিনে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, চিনি খাওয়া কমালে তা ঘুমের মান এবং সময়কাল উন্নত করে।
৩. মিষ্টি খাবারের আকাঙ্ক্ষা কমে যায়
প্রথম কয়েক দিন কষ্টকর মনে হতে পারে, বিশেষ করে যদি আপনি রাতের খাবারের পরে মিষ্টি খেতে অভ্যস্ত হন। কিন্তু একবার আপনার শরীর সামঞ্জস্য হয়ে গেলে, সন্ধ্যায় মিষ্টি খাবার খাওয়ার এই আকাঙ্ক্ষা কমে যায়। খাবারের পর মিষ্টি কিছুর প্রয়োজন বন্ধ হয়ে যায়, যা দীর্ঘমেয়াদী সচেতন খাবারের দিকে একটি বড় পদক্ষেপ হতে পারে।
৪. ত্বক এবং হজমে লক্ষণীয় পরিবর্তন
দিনের শেষের দিকে চিনি গ্রহণ কমিয়ে দিলে শরীরে প্রদাহের মাত্রা কমে যায়। এর ফলে ত্বক পরিষ্কার হয়, ব্রণ কমে যায় এবং খাবারের পরে পেট ফাঁপা কম হয়। দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষে লক্ষ্য করে দেখবেন যে আপনার ত্বক আরও উজ্জ্বল দেখাচ্ছে।
৫. মনোযোগ এবং মেজাজ উন্নত করে
দুপুরের পর দুই সপ্তাহ চিনি গ্রহণ এড়িয়ে চলার আরেকটি সুবিধা হলো মনোযোগ এবং মেজাজ উন্নত হওয়া। সারাদিন ধরে রক্তে শর্করার মাত্রা ভারসাম্যপূর্ণ হলে শান্ত এবং আরও মনোযোগী বোধ করবেন। যেকোনো কাজ দক্ষতার সঙ্গে শেষ করা তখন সহজ হয়ে যাবে।